সুস্থ থাকাতেই স্কোয়াডে রামোস: জিদান

চেলসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সের্জিও রামোস। গুঞ্জন রয়েছে বাঁচামরার লড়াইয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই তড়িঘড়ি করে দলে নেওয়া হয়েছে অধিনায়ককে। কিন্তু এমন গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন কোচ জিনেদিন জিদান। খেলার মতো সম্পূর্ণ ফিট আছেন বলেই দলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান এ ফরাসি কোচ।

প্রথম লেগে চেলসির বিপক্ষে ঘরের মাঠের সুবিধাটা আদায় করে নিতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ১-১ ড্র হওয়া ম্যাচে উল্টো অ্যাওয়ে গোল আদায় করে সুবিধাজনক স্থানে আছে ইংলিশ ক্লাবটি। প্রতিপক্ষের মাঠে তাই কাজটা বেশ কঠিনই লস ব্লাঙ্কোসদের। তার উপর সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে রয়েছে চেলসি। বিশেষকরে টমাস টুখেলের অধীনে রাতারাতিই যেন বদলে গেছে দলটি। এমন ম্যাচে রামোসের ফেরা দারুণ স্বস্তিদায়ক রিয়ালের জন্য।

তবে স্কোয়াডে থাকলেই যে একাদশে থাকবেন এমন নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না জিদান। তাহলে কেন স্কোয়াডে নেওয়া হলো রামোসকে? এমন প্রশ্নে জিদানের উত্তর, 'আপনারা কালই দেখতে পারবেন যদি (রামোস) খেলে। আমি এসব নিয়ে কিছু বলব না। এখানে সে আছে এর মানে হলো সে সুস্থ রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সে দলের লিডার এবং অধিনায়ক। আমরা কোনো কিছুই ঝুঁকি  নেই না। তবে সে যেহেতু দলে রয়েছে কারণ সে খেলতে পারবে।'

সাম্প্রতিক সময়ে রামোসকে ছাড়া অবশ্য খুব বেশি ভুগতে হয়নি রিয়ালকে। এদের মিলিতাও দারুণ খেলছেন তার জায়গায়। তবে রামোসকে ছাড়া রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। তাকে ছাড়া শেষ ১২ ম্যাচের নয়টি ম্যাচেই হেরেছে তারা। তাই অধিনায়কের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে উজ্জীবিত করবে দলটিকে।

তবে শুধু রামোসই নয়, এ মৌসুমে প্রায় পুরো স্কোয়াডের সব খেলোয়াড়দের ইনজুরি নিয়ে ভুগতে হয়েছে রিয়ালকে। এক খেলোয়াড় ফিট হলে আরেক খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়েন। এদিনই যেমন রামোসকে পাওয়ার আগে রাফায়েল ভারানেকে হারিয়েছে দলটি। তবে ভাঙাচোরা দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও এখন পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে থাকায় দলটিকে শ্রদ্ধা করতে বললেন জিদান, 'আপনাকে এ দলটিকে শ্রদ্ধা করতে হবে। যখনই খারাপ সময় আসে তারা এগিয়ে আসে। তারাই সেরা। আমরা সেখানেই আছি যেখানে থাকতে চাই এবং প্রাপ্য বলেই আছি।'

উল্লেখ্য, রাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে চেলসির মাঠে নামছে রিয়াল। আগের দিন পিএসজিকে হারিয়ে এরমধ্যেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।