সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে ভবন নির্মাণ করে এটিকে বাণিজ্যিকীকরণ না করার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন গেটে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

আগামীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বজায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্পের অবকাঠামো নির্ধারণ এবং বর্ষায় ১০ হাজার গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

‘আইনের পাঠশালা’র সভাপতি আইনজীবী সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্যান্টিন বানানোর নামে প্রকৃতি হত্যার একটা পাঁয়তারা করা হচ্ছে। যার মূলে রয়েছে লুটপাটের অশুভ উদ্দেশ্য। অবিলম্বে এই প্রকৃতি ধ্বংসের প্রকল্প বাতিলের দাবি জানাছি।’

উদ্যানকে সাংস্কৃতিক বলয় হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঈদ পযর্ন্ত সরকারকে সময় দিতে চাই। এই সময়ের মধ্যে যদি এই প্রকল্প বাতিল করা না হয়, তবে ঈদের পর সব পরিবেশবাদীদের নিয়ে এই স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।’

তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা সুদীপ সজীব বলেন, ‘সৌন্দর্য বর্ধনের নামে গগণচুম্বী গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। যেখানে পৃথিবীর অন্যান্য প্রকৃতি বাঁচিয়ে রেখে অবকাঠামা নির্মাণ করা হয়, সেখানে গাছ কেটে হাঁটার পথ আর খাবারের দোকান বানানো হচ্ছে। একটু চেষ্টা করলেই গাছগুলো বাঁচানো যেতো। উদ্যানের এই গাছ হত্যার মাধ্যমে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। এর দায় কে নেবে? অপরিকল্পিতভাব গাছ হত্যার এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হোক।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রত্যেক কোণে ছয়টি ছোট ভবন তৈরি করা হচ্ছে। উদ্যানের মধ্যে পরিকল্পিত রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। রাস্তা তৈরির জন্য ইতোমধ্যেই অনেকগুলো গাছ কাটা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদের তোপে পড়ে সংশ্লিষ্টরা আপাতত গাছ কাটা বন্ধ রেখেছেন।

মানববন্ধনে ‘উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস করা বন্ধ করুন’; ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’; ‘দেশের বায়ু দেশের মাটি গাছ লাগিয়ে করব খাঁটি’; ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

47m ago