সেই নেপথ্য কুশীলব প্রশান্ত এবার তৃণমূলের রাজনীতিতে?

ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিং কে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, ওয়াকিবহাল মহল থেকে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের প্রত্যক্ষ রাজনীতির ক্ষেত্রে আগ্রহ বহুদিনের। বিহারের ভূমিপুত্র প্রশান্ত কিছুদিন বিহারে নীতীশ কুমারের দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য দীনেশ ত্রিবেদী দল বদলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই। দীনেশ পদত্যাগ করার ফলে ওই আসনটি এখন শূন্য। সেই আসনে ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে পাঠাতে চলেছে তৃণমূল, তাদের দলের অন্দরে এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
অপরপক্ষে বাজপেয়ীর অর্থমন্ত্রী বিহারের যশোবন্ত সিংকেও রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূল। মানস ভুইঞা বিধানসভাতে জেতার ফলে তৃণমূলের যে আসনটি রাজ্যসভাতে ফাঁকা হচ্ছে, সেই আসনে যশবন্ত যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ যশবন্তের সঙ্গে মমতার দীর্ঘদিন খুব সুসম্পর্ক। বিধানসভা ভোটে যশবন্ত তৃণমূলের হয়ে প্রচারও করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যশবন্তের সংঘাত চরমে উঠেছে। ফলে যশবন্ত আর প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মোদিকে একটা কঠোর বার্তা দিতে চাইছেন মমতা- এমনটিই অনেকের অনুমান। আরএসএস ঘনিষ্ঠ যশবন্তকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে বিজেপির ঘরোয়া বিবাদে একটা ভিন্ন মাত্রা যোগ করে আগামী লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন মমতা- এমনটাই রাজনৈতিক মহলের অনুমান।
অপরপক্ষে মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোতে ভোট না করে মেয়াদ শেষ হওয়া পৌরপ্রধানদেরই প্রশাসক করেছিলেন মমতা। আইন মোতাবেক রাজনীতিকরা প্রশাসক হতে পারেন না। কিন্তু সিপিআই (এম) তাদের হাতে থাকা শিলিগুড়ি পৌরনিগম আর তাহেরপুর পৌরসভার খাতিরেই এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি। ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে দিয়েছিল। ভোট মিটতেই নিজের দলের প্রাক্তন চেয়ারম্যানদের পৌরসভাগুলিতে পুনর্বহাল করলেও শিলিগুড়িতে সিপিআই (এম) এর অশোক ভট্টাচার্যকে পুনর্বহাল করেনি রাজ্য সরকার। অশোক ভট্টাচার্যের জায়গায় সদ্য পরাজিত তৃণমূলের গৌতম দেবকে শিলিগুড়ির পৌর প্রশাসক পদে নিয়োগ করা হয়।
Comments