আইপিএলের বাকিটা আয়োজন করতে চায় ইংলিশ কাউন্টি ক্লাবগুলো

আইপিএল আয়োজনের ইচ্ছা জানিয়ে ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কাছে সমন্বিতভাবে চিঠি দিয়েছে ক্লাবগুলো।
IPL trophy

আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় চারটি কাউন্টি ক্লাব। তারা হলো মিডলসেক্স, সারে, ওয়ারউইকশায়ার ও ল্যাঙ্কাশায়ার।

বৃহস্পতিবার ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইপিএল আয়োজনের ইচ্ছা জানিয়ে ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কাছে সমন্বিতভাবে চিঠি দিয়েছে ক্লাবগুলো। ভেন্যু হিসেবে লন্ডনের লর্ডস ও ওভাল, বার্মিংহামের এজবাস্টন এবং ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের নাম উল্লেখ করেছে তারা।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের পরিস্থিতি টালমাটাল হওয়ায় গত মঙ্গলবার স্থগিত করা হয়েছে আইপিএল। আসরের এখনও ৩১টি ম্যাচ বাকি। সেগুলো আগামী সেপ্টেম্বরে আয়োজন করতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কিন্তু ওই সময় দেশটিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত করার শঙ্কা রয়েছে। তাই বিসিসিআই ভারতের বাইরে আইপিএল আয়োজনের সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছে।

ভারতীয় বোর্ডের ঊর্ধ্বতন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘এটা (আইপিএল) বাইরেই আয়োজন করতে হবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কিছু পরামর্শ পাওয়া গেছে। বিসিসিআইকে এখন মনস্থির করতে হবে।’

সূচি অনুসারে, ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফর শেষ হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। এরপর দুই সপ্তাহের একটি ফাঁকা সময় বের করে আইপিএল শেষ করতে চায় বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে অধিকাংশ দিনে একাধিক ম্যাচের সূচি থাকবে।

আগামী বৃহস্পতিবার আইসিসির নির্বাহী কমিটির সভা রয়েছে। সেদিন বিসিসিআই ও ইসিবির কর্মকর্তারা ইংল্যান্ডে আইপিএল আয়োজনের বিষয়ে আলাপ করতে পারেন। তবে আরও একটি বিকল্প রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও স্থানান্তরিত হতে পারে প্রতিযোগিতাটি।

সেক্ষেত্রে রয়েছে একটি সমস্যা। করোনার প্রাদুর্ভাবে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত থেকে আরব আমিরাতে সরে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেখানে আগে আইপিএল আয়োজিত হলে, টানা খেলার কারণে উইকেট মন্থর হয়ে যেতে পারে। তাতে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সের দেখা মিলবে না বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে।

ইংল্যান্ড সফর যখন শেষ হবে, তখন সেখানে থাকবেন ৩০ জন ভারতীয় ক্রিকেটার। এই সুবিধার পাশাপাশি বিসিসিআইকে বিবেচনায় রাখতে হবে অসুবিধাগুলোও। ইংল্যান্ডের কঠোর কোয়ারেন্টিন নীতির কারণে দেশটিতে বাকি খেলোয়াড়দের নিয়ে যাওয়া ও প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি কঠিন কাজ হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Power supply may not improve anytime soon

The power supply situation has further deteriorated across the country as another power plant has completely shut and there is no sign of increasing generation in the immediate future.

6h ago