জুভেন্টাসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সুযোগ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

জুভেন্টাসের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলে জিতেছে মিলান।
ac milan ronaldo
ছবি: টুইটার

শিরোপা জুভেন্টাসের হাতছাড়া হয়েছে আগেই। এবারে তাদের ইতালিয়ান সিরি আর শীর্ষ চারে থাকার সম্ভাবনাতেও লাগল ধাক্কা। এসি মিলানের কাছে বড় হারে আগামী মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়ল আন্দ্রেয়া পিরলোর শিষ্যরা।

রবিবার রাতে জুভেন্টাসের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলে জিতেছে সফরকারীরা। বিরতির ঠিক আগে তাদেরকে এগিয়ে দেন ব্রাহিম দিয়াজ। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান আন্তে রেবিচ ও ফিকায়ো তোমোরি।

৩৫ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগের পাঁচে রয়েছে সিরি আর গত নয়বারের চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। ৭২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠেছে মিলান। গোল পার্থক্যে দুইয়ে থাকা আতালান্তার পয়েন্টও ৭২। ৭০ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে নাপোলি। ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে ইতোমধ্যে শিরোপা ঘরে তোলা ইন্টার মিলান।

শুরুর দিকে দাপট ছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো-আলভারো মোরাতাদের। কিন্তু গোটা ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। তাদের নেওয়া ১৬টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মোটে একটি। বিপরীতে, মিলানের ১০ শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।

৩০তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত স্বাগতিকরা। কিন্তু মিলানের গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার ভুলে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও হেড লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন জর্জিও কিয়েলিনি। উল্টো প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পিছিয়ে পড়ে জুভরা। তাদের গোলরক্ষক ভোইচেখ স্ট্যান্সনি ঠিকমতো ফ্রি-কিক রুখতে না পারলে বল পেয়ে যান ব্রাহিম। ডান পায়ের বাঁকানো শটে দূরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

কিয়েলিনির হাতে বল লাগায় ৫৬তম মিনিটে পেনাল্টি পায় মিলান। কিন্তু ফ্রাঙ্ক কেসির দুর্বল শট আটকে দেন স্ট্যান্সনি। ৭৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করেন বদলি নামা রেবিচ। তার দূরপাল্লার নিখুঁত শট তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না জুভদের গোলরক্ষকের।

চার মিনিট পর সফরকারীদের বড় জয় নিশ্চিত করেন তোমোরি। হাকান চালোনোলুর ফ্রি-কিকে দারুণ হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। শেষদিকে বদলি নামা পাওলো দিবালার শট পোস্টে বাধা পেলে ব্যবধান কমানো হয়নি তুরিনের বুড়িদের।

লিগে জুভেন্টাসের শেষ তিনটি ম্যাচ যথাক্রমে সাসুয়োলো, ইন্টার ও বোলোনিয়ার বিপক্ষে। সেগুলোতে ভালো ফল করার পাশাপাশি মিলান, আতালান্তা ও নাপোলির ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। একটু পা হড়কালে আগামী মৌসুমে তাদের খেলতে হবে উয়েফা ইউরোপা লিগে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago