বেলা বাড়ার সঙ্গে পাটুরিয়ায় যাত্রীর চাপও বাড়ছে
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ বাড়ছে।
আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে দেখা যাচ্ছে, যখনই কোনো ফেরিতে মরদেহ বা রোগীবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ওঠছে, তখনই শত শত যাত্রী দৌড়ে এসে ফেরিতে উঠছে। সেই সঙ্গে মোটরসাইকেল ও ছোট গাড়িও পার হয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর বেলা সোয়া ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরির ১০টি ট্রিপ পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়ায় গেছে এবং একই সময়ে দৌলতদিয়া থেকে ফেরি ১২টি ট্রিপ পাটুরিয়ায় এসেছে।
দৌলতদিয়া থেকে যখন পাটুরিয়া ফেরি এসেছে তখন যাত্রীর তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেশি ছিল। তবে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যখন যাচ্ছিল তখন মূলত যাত্রীই ছিল, একটি/দুটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল।
পাটুরিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের ফেরির জন্যে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। যখনই ঘাটে কোনো ফেরি ভিড়ছে, তখনই তাদেরকে দৌড়ে সেখানে যেতে দেখা যাচ্ছে।
নারী-শিশু-বৃদ্ধদের হাতে, মাথায় ও ঘাড়ে ভারি বোঝা নিয়ে ছুটতে দেখা গেছে।
যাত্রীরা তাদের দুর্ভোগের কথা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, সবই যখন খোলা আছে তখন দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখার দরকার কী?
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ কবীর ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পুলিশের ৪০ সদস্য ঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন।’
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রোগী ও মরদেহবাহী গাড়িগুলো আমরা পার করছি। এর সঙ্গে অন্যান্য গাড়ি বা জনসাধারণ যদি ফেরিতে উঠে যায় তাহলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো অবস্থা আমাদের নেই।’
ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কে মানিকগঞ্জের প্রবেশমুখ বারোবারিয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাটের আট কিলোমিটার আগে টেপড়া এলাকা ও হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে মানিকগঞ্জের প্রবেশমুখ ধল্লা এলাকায় বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসন চেকপোস্ট বসিয়েছেন যাতে অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি ও গাড়ি মানিকগঞ্জে বা পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আসতে না পারে।
Comments