গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজার একটি হাসপাতালের সামনে এক নারীর আহাজারি। ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় শিশুসহ ২০ জন নিহত ও কমপক্ষে ৬৫ জন আহত হয়েছে।

গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে জুমাতুল বিদার দিনে আল-আকসা মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েল।

আল-আকসা মসজিদের ওই হামলায় ৩০০ জনের বেশি আহত হয় বলে জানায় ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট।

আল-আকসা মসজিদের ওই হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় হামাস।

হামাসের রকেট হামলাকে ‘বিপৎসীমা’ অতিক্রম করেছে উল্লেখ করে ওই হামলার কড়া জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তাদেরকে চড়া মূল্য দিতে হবে।’

এরপরেই ফিলিস্তিনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে বিমান হামলার পর উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশ ও সংস্থা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ‘হামাসকে “অবিলম্বে” রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘সব পক্ষের শান্ত থাকা দরকার।’

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন ফসাকি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহিংসতা নিয়ে অনেক উদ্বিগ্ন।

একটি টুইটে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডোমিনিক রাব বলেছেন, ‘রকেট হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’ বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলার অবসান ঘটানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুসালেমে ‘সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। অবিলম্বে তা বন্ধ হওয়া দরকার।’

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

7h ago