টেকনাফে পাচারের উদ্দেশে জড়ো করা ২৪ রোহিঙ্গা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে জড়ো করা ২৪ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৪ জন নারী, পাঁচ জন পুরুষ ও পাঁচ শিশু।
পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুই নারীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'গতকাল সোমবার বিকাল তিনটায় টেকনাফের শামলাপুর ইউনিয়নের বড়ডেইল জাহাজপুরা গ্রামে প্রথম অভিযান চালানো হয়। এ সময় চিহ্নিত মানব পাচারকারী নুরুল আমিনের বাড়ি থেকে সমুদ্র পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য জড়ো করা চার রোহিঙ্গা নারী ও দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।'
ওই অভিযানে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য মো. আলী চাঁদ ও নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।
ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, পরে গতকাল রাত ১১টায় দ্বিতীয় অভিযান পরিচালনা করা হয় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে। সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসা ১০ জন রোহিঙ্গা নারী, পাঁচ জন পুরুষ ও তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জালিয়াঘাটের রশিদা বেগম (৩৫) ও রাজিয়া বেগমকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, রফিকুল ইসলাম পলাতক ছিল বলে জানান ওসি।
ওসি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া ২৪ জন রোহিঙ্গা এবং গ্রেপ্তারকৃত চার জনকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত উদ্ধার হওয়া ২৪ রোহিঙ্গাকে তাদের নিজ নিজ ক্যাম্প প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করতে এবং গ্রেপ্তার চার জনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানান ওসি।
এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল টেকনাফের বাহারছড়া এলাকার বড়ডেইল সৈকত থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে ৩০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
Comments