বেতন-ভাতা দাবিতে গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

বেতন ভাতা ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে স্টাইল ক্রাফট লিমিটেডের পোশাক কারখানার বিক্ষোভ করে। ছবি: সংগৃহীত

বেতন ভাতা ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে স্টাইল ক্রাফট লিমিটেডের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছে। 

বুধবার দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা-গাজীপুর সড়কের লক্ষ্মীপুরা এলাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা।

এপ্রিল মাসের বেতন ভাতা ও ঈদবোনাস পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে তাদের পাওনা আদায়ের দাবি জানিয়ে আসছিল। একাধিকবার আশ্বাস দিয়েও কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করেনি। শ্রমিকদের চাপের মুখে একপর্যায়ে মঙ্গলবার ভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ওইদিন আংশিক শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করা হয়। এতে বঞ্চিত শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে শ্রমিক অসন্তোষের মুখে কারখানা ত্যাগ করে কর্মকর্তা ও মালিক পক্ষের লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সূত্রধর সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকাল থেকে ভাতা বঞ্চিত শ্রমিকরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দুপুর পর্যন্ত কারখানার সামনে অবস্থান করে। তারা কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া না পেয়ে দুপুর একটার দিকে কারখানার সামনে ঢাকা-গাজীপুর সড়কের লক্ষ্মীপুরা এলাকায় অবস্থান নেয়।

ঈদের আগে অবরোধের কারণে সড়কের উভয়দিকে যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশের মধ্যস্থতায় আলোচনা শেষে বুধবারের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনাদি পরিশোধের আশ্বাস দেন কারখানার মালিক। শ্রমিকরা তা মেনে নিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে সড়কের অবরোধ প্রত্যাহার করে এবং কারখানার ভিতরে গিয়ে অবস্থান নেয়। দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে তাদের পাওনাদির জন্য অবস্থান করছিল। এ কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago