আফগানিস্তানে আরেক জেলা দখলে নিল তালেবান জঙ্গিরা

ঈদ উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগের দিন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কাছে একটি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান জঙ্গিরা।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেনা সরিয়ে নিলে সেখানে তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাড়তে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। এপি ফাইল ফটো

ঈদ উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগের দিন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কাছে একটি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান জঙ্গিরা।

মঙ্গলবার জঙ্গি সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘আকস্মিক আক্রমণ’ করে তারা ওয়ার্দাক প্রদেশের নার্খ জেলা দখল করে।

এক সপ্তাহের মধ্যে তালেবানের দখল করা দ্বিতীয় জেলা নার্খ।

আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের বাকি সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। এর মধ্যে সেখানে সংঘর্ষ বাড়তে শুরু করেছে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজজাহিদ এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, ওয়ার্দাক প্রদেশের নার্খ জেলার পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স, গোয়েন্দা বিভাগ এবং বিশাল সামরিক ঘাঁটি দখল করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এতে শত্রুপক্ষের বহু সেনা নিহত ও আহত হয়েছেন।’

ওয়ার্দাক প্রদেশের গভর্নর আব্দুর রহমান তারিক নিশ্চিত করেছেন, তালেবানরা নার্খ জেলা দখল করেছে এবং কৌশলগত কারণে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী সেখান থেকে সরে গেছে।

বুধবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, জেলাটির দখল ফিরিয়ে নিতে আবারও সেখানে আক্রমণ করা হবে।

এর আগে গত ৫ মে তালেবান দেশের উত্তরাঞ্চলের বাগলান প্রদেশের বুরকা জেলার দখল নেওয়ার পর নার্খ জেলার দখল নিল।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঈদুল‍ ফিতর উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হতে যাচ্ছে।

কয়েকদিন আগে রাজধানী কাবুলে একটি স্কুলের বাইরে বোমা হামলায় অন্তত ৬৮ জন নিহত ও ১৬৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। আফগানিস্তান সরকার এই হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করলেও, তালেবানের পক্ষ থেকে এই হামলার দায় অস্বীকার করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি জানিয়েছেন, যে কোনো সময় সেখানে আক্রমণ চালানোর সক্ষমতা রয়েছে সরকারি বাহিনীর।

তবে, সবাই এ ধরনের আশা দেখছেন না। অনেকে মনে করছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার আবারও দেশটিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago