শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ফুটপাতের ঈদ বাজার

প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের আগে জমে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের ঈদ বাজার। তবে এ বছর বাজার জমজমাট হওয়া শুরু হয়েছে অনেকে দেরিতে। করোনার কারণে কেউ বেতন-বোনাস পেয়েছেন দেরিতে অথবা ধার করে করছেন কেনাকাটা।
রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকার ফুটপাতে ঈদ বাজার। ১২ মে ২০২১। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের আগে জমে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের ঈদ বাজার। তবে এ বছর বাজার জমজমাট হওয়া শুরু হয়েছে অনেকে দেরিতে। করোনার কারণে কেউ বেতন-বোনাস পেয়েছেন দেরিতে অথবা ধার করে করছেন কেনাকাটা।

গতকাল বুধবার রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মিরপুর-১ ও মিরপুর-১০ এলাকার ফুটপাতের ঈদ বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

মিরপুর-১০ এলাকার হকার আকবর আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রতি বছর ঈদের তিন থেকে চার দিন আগে থেকেই ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেচাকেনা শুরু হয়। তবে এ বছর লকডাউনের কারণে বেচাকেনা শুরু হতে বেশ দেরি হয়ে গেছে।

আগের বছরগুলোর মতো এবার বেচাকেনা হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারাবছর খুব একটা বেচাকেনা হয়নি। ঈদের সময় একটু বেশি বিক্রি হলে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পেতাম। কিন্তু, লকডাউনের কারণে বেচাকেনা করা যাবে কি না এই শঙ্কায় খুব একটা মালামাল উঠাইনি। তাই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের পণ্য দিতে পারছি না।’

ফুটপাতের বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা জোসনা বেগম ডেইলি স্টারকে জানান, গত এক মাস ধরে তার স্বামীর কোনো কাজ নেই।

তিনি বলেন, ‘আমার বেতন আগেই পেয়েছিলাম, আজ বোনাস পেলাম। সেই টাকা দিয়ে স্বামীর জন্য শার্ট আর বাচ্চাদের কাপড় কিনছি।’

তবে নিজের জন্য কিছু কেনেননি বলেও জানান জোসনা।

অনেকদিন পর দোকানে ভিড় দেখে খুশি বিক্রেতারাও। ফার্মগেট ও মিরপুর অঞ্চলে ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকলেও কারওয়ান বাজারে ভিড় কিছুটা কম ছিল।

বৃহস্পতিবার ঈদ হতে পারে, এই চিন্তায় গতকাল দোকানগুলোতে ভিড় একটু বেশিই ছিল। তবে ঈদ একদিন পিছিয়ে যাওয়ায় আরও একদিন বেচাকেনার সুযোগ পাওয়ায় খুশিই হয়েছেন বিক্রেতারা।

Comments