মেঘনা পাড়ে মানুষের ঢল

ঈদের পরের দিন আনন্দ উদযাপনে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীর তীরে মানুষের ঢল নামে। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/ স্টার

ঈদের পরদিন আনন্দ উদযাপন করতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীর তীরে মানুষের ঢল নামে। এ জায়গাটি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা সংলগ্ন তাই অধিকাংশ মানুষ ওই এলাকার। প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। কেউ কেউ ট্রলার ভাড়া করে ঘুরেছেন আবার অনেকে পানিতে ভেজেন।

ঘুরতে আসা অনেকেই জানান, বিনোদন কেন্দ্রের অভাব আর করোনার কারণে কোথাও বেড়ানোর জায়গা নেই। তাই এখানে আসা। দুপুর থেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসতে দেখা যায় অনেক মানুষকে। তবে অধিকাংশ লোকজনের মুখেই মাস্ক ছিল না। সামাজিক দূরত্বও মানতে দেখা যায়নি।

বিকালে গিয়ে দেখা যায়, বেড়াতে আসা বেশিরভাগ মানুষ ব্যস্ত সময় পার করছেন ছবি তুলতে। ট্রলার ভাড়া নিয়ে সাউন্ড বক্সে বাজানো হচ্ছে গান। শিশু-কিশোরদের গানের তালে নাচতেও দেখা যায়। দূর দূরান্ত থেকে মিশুক, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে মানুষ আসে। কয়েকজন এসেছেন ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়েও। তিনটি রেস্টুরেন্টেও মানুষের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি ছিল। সন্ধ্যায় ঝড় শুরু হলে আশেপাশে আশ্রয় খুঁজে না পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফেরে মানুষজন।

ঘুরতে আসা সিনথিয়া আক্তার জানান, বেড়ানোর তেমন জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত কয়েক বছর ধরে এ জায়গাটিতে মানুষ ঘুরতে আসে। মনোরম পরিবেশে এসে ভালোই লাগছে।

সিফাত হোসেন জানান, এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। বেশ কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড গরম, একটু শরীর ঠান্ডা করতে দুই সন্তান, স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। দুই সন্তান পানি দেখে গোসল করতে নেমে গিয়েছে, ওদের খুশিতে আমাদের আনন্দ। করোনার মধ্যে জনসমাগম না করার নিষেধ আছে কিন্তু ঘরে বন্দি থাকা মানুষ অনেকদিন পর একটু স্বস্তিতে ঘুরতে এসেছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী জাব্বার হোসেন জানান, বেশিরভাগ মানুষ পরিবার নিয়ে এসেছে। শহরে ঘুরে বেড়ানোর জায়গা নেই। তবে আসার জন্য দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ শহর থেকে চরকিশোরগঞ্জ গজারিয়াঘাট পর্যন্ত অটোরিকশয়ায় স্বাভাবিক ভাড়া ৪০-৫০ টাকা। কিন্তু সেই জায়গায় রাখা হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা পর্যন্ত।

শিক্ষার্থী রনি হাসান জানান, বাবার সাথে এসেছিলাম ঘুরতে। কিন্তু অনেক বৃষ্টি শুরু হলে ভিজে ভিজে বাসায় যেতে হচ্ছে। যানবাহনও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বেড়াতে এসে খুব ভালো লেগেছে।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago