লঞ্চ বন্ধ থাকলে রাস্তায় নামার হুমকি বরিশালের নৌযান শ্রমিকদের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। কাজ না থাকায় অর্থিক সংকটে পড়েছেন শ্রমিকরা। তাই খুব শিগগিরই লঞ্চ চলাচল শুরু করার দাবি জানিয়েছেন বরিশালের নৌযান শ্রমিকরা। অন্যথায় রাস্তায় আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তারা।
আজ সকালে বরিশাল অঞ্চলের নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভায় শ্রমিক নেতারা বলেন, লঞ্চ না চললেও শ্রমিকদের ঠিকই লঞ্চের দায়িত্বে থাকতে হচ্ছে। যারা ছুটি নিয়েছেন, তাদের বেতন দেননি মালিকরা। যারা ঈদে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের দেওয়া হয়েছে অর্ধেক বেতন।
সভায় বরিশাল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশেনের সভাপতি মাস্টার আবুল হাশেম জানান, আগামী দুএকদিনের মধ্যে লঞ্চ চলাচলে সরকার সিদ্ধান্ত না নিলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন।
তিনি বলেন, ‘একে একে বাস, ফেরি সবই চলতে শুরু করেছে। লকডাউন শুধু লঞ্চের ক্ষেত্রেই।’
সুরভি লঞ্চের মাস্টার শুক্কুর আলী বলেন, ‘সব যানবাহনই চলছে। দূরপাল্লার বাসও চলে। তবে আমাদের বেলায় অন্য আইন কেন? দ্রুত সময়ের মধ্যে লঞ্চ না ছাড়লে আমরা রাস্তায় নামব।’
‘মানামি’ লঞ্চের সুপারভাইজার কাওসার জানান, দীর্ঘ এক মাস ১০ দিন ধরে তারা বেহাল অবস্থায় রয়েছেন।
ঈদের আগের দিন লঞ্চ চলাচলের অনুমতি মিলতে পারে- শ্রমিক নেতাদের এমন আশ্বাস শুনে অপেক্ষায় ছিলেন অনেক শ্রমিক। তবে ১২ মে রাতে তারা নিশ্চিত ঈদে লঞ্চ চলবে না।
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি রহমান রিন্টু বলেন, ‘করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি লঞ্চ মালিকরা। এখন দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ। শ্রমিকদের বেতন এবং ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন মালিক পক্ষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু লঞ্চশ্রমিককে সীমিত আকারে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমার জানামতে অনেক লঞ্চের মালিক অর্ধেক বেতন পরিশোধ করেছেন।’
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
Comments