নারায়ণগঞ্জ শহরে জ্বালানি গ্যাসের গন্ধ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় জ্বালানি গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা।

আজ সোমবার ভোররাত ২টা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গ্যাসের বিষয়ে সর্তক হওয়ার জন্য অনেকেই স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

শহরের বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম টিপু লিখেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের অনেক এলাকায়ই গ্যাস লাইন থেকে প্রচুর গ্যাস লিকেজ হয়ে বিকট গন্ধ বের হচ্ছে। গ্যাস অফিসের ওরা কী করছে কে জানে? নাকি তল্লার সেই মসজিদের মতো বিস্ফোরিত হয়ে প্রাণ না ঝরলে তাদের টনক নড়বে না। সাবধান হোন।’

অভিজিৎ সাহা লিখেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সদরের অনেক জায়গায়, রাস্তার ড্রেন থেকে ও বাসায় গ্যাসের চুলার কাছ থেকে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সমস্যা কোথায়? ভয় কাজ করছে জনমনে। তিতাস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

রাজীব দত্ত লিখেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সব জায়গায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, এর কারণটা কী কেউ বলতে পারেন?’

আরেক অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের রান্না ঘরে গ্যাসের তীব্র গন্ধে থাকা যাচ্ছে না, বমি পাচ্ছে। আশেপাশে সবারই এক সমস্যা এখন। এই সমস্যা এড়াতে করণীয় কি?’

সাদিক আল মামুন লিখেছেন, ‘সম্ভবত পুরা নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই মোটামুটি সব যায়গায় গ্যাস লিক হয়ে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। তাই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য একদমই চুলা জ্বালানো থেকে বিরত থাকুন।’

রাতে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের টানবাজার, মিনাবাজার, চাষাঢ়া, গলাচিপা, কলেজ রোড, দেওভোগ, আল্লামা ইকবাল রোড, খানপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে গ্যাসের তীব্র গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে কেউই তেমন কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে রাতে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সর্তক করতে শুরু করেন।

শহরের কলেজ রোড এলাকার দেওয়ান মঞ্জিল নামে ভবনের দারোয়ান আলী মিয়া বলেন, ‘আমাদের ভবনেও গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। তিতাসে কাউকে ফোনে না পেয়ে ভাড়াটিয়ারা আমাকে বিষয়টি জানায়। তাই বাধ্য হয়ে ভবনের তিনটি রাইজার বন্ধ করে দিয়েছি।’

নারায়ণগঞ্জ মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি অফিসার নাইমুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শহরের অনেক জায়গা থেকে গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ দিয়েছে। মূলত লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। তিতাসের অফিসে ফোন দিয়ে জানানো হয়েছে, যেন তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। এ ছাড়াও বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে।’

তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে সবাইকে নিজ ঘরের দরজা জানালা খোলা রাখতে হবে। যাতে করে ঘর থেকে বাতাস বাইরে যেতে পারে। রান্নার চুলা থেকে গ্যাস বের হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে হবে। গ্যাসের গন্ধ না যাওয়া পর্যন্ত চুলা কিংবা ম্যাচের কাঠি জ্বালানো যাবে না।’

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা জোনের প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিম পাঠানো হবে। সমস্যা থাকলে দ্রুত সমাধান করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English
problems faced by Bangladeshi passport holders

The sorry state of our green passports

Bangladeshi passports are ranked among the weakest in the world.

8h ago