খিলক্ষেতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে দুই জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত দুই জন হলেন— এনামুল (৩০) ও মো. রাসেল (২৮)। এদিন ভোর ৪টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ভোর ৪টার দিকে খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোফাখখারুল ইসলাম দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
মশিউর রহমান বলেন, আজ রাত ২টা থেকে ২টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং বন্দুকযুদ্ধ হয়। এর পরে উপস্থিত জনতার সহায়তায় পুলিশ দুই জন ছিনতাইকারীকে আটক করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত সবুজ রঙের একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আহত দুই সন্ত্রাসীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন, কাঠের বাটযুক্ত একটি পুরানো ধারালো ছুরি, দুইটি টাইগার বাম, একটি সবুজ রঙের গামছা, নয়টি স্মার্ট ফোন ও ফিচার ফোন, ১৬ পিস ইয়াবা, একটি লাইটার এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এখন তারা ফিরতে শুরু করেছেন। গভীর রাতে বাস-মিনিবাসের মতো গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে যাত্রীরা গন্তব্যে ফেরেন। গণপরিবহনের এই স্বল্পতাকে কাজে লাগিয়ে কয়েকটি চক্র রাইড শেয়ারের নামে মানুষের সর্বস্ব ডাকাতি করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। দুই জনকে ফাঁস দিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একাধিক টিম কুড়িল-বিশ্বরোড ফ্লাইওভার, খিলক্ষেত, কাওলা, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড ও পূর্বাচলগামী ৩০০ ফিট রাস্তায় টহল জোরদার করেছে।’
‘আটক দুই সন্ত্রাসীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে অটোরিকশাচালকের নাম নয়ন। পাশের সিটে বসেছিলেন ইয়ামিন। তারা আরও জানান, নিহত একজনের নাম এনামুল ও অন্য জনের নাম রাসেল। তারা অটোরিকশার পেছনে বসেছিলেন। তল্লাশির জন্য পুলিশ গতিরোধ করলে তারাই নেমে গুলি চালাতে শুরু করে’— বলেন মশিউর রহমান।
Comments