অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক হিসেবে চ্যাপেলের পছন্দ কামিন্স

টিম পেইনের যা পারফরম্যান্স, আগামী অ্যাশেজ পর্যন্ত তার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে টিকে থাকা মুশকিল। পেইনকে সরিয়ে তাই ফের স্টিভেন স্মিথে হাতে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছিল। কিন্তু সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলের মতে স্মিথের দিকে পিছু হাঁটা নয়, বরং সামনে তাকিয়ে প্যাট কামিন্সকে করা উচিত নতুন অধিনায়ক।
স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত সব সংস্করণে স্মিথই ছিলেন অজি কাপ্তান। নিষিদ্ধের পর দলে ফিরেই অধিনায়কত্ব পাওয়ার পথ ছিল না তার। এজন্য আরও এক বছরের অপেক্ষার নিয়ম ছিল। সেটাও পেরিয়ে গেছে। পেইনের নেতৃত্বও এই সময়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
হারানো ভাবমূর্তি আবার ফিরে পাওয়ায় কেন স্মিথকেই অধিনায়ক করা হবে না, এই শোরগোল দেশটির ক্রিকেট মহলে কদিন ধরেই আলোচিত।
তবে চ্যাপেল মনে করেন স্মিথকে অধিনায়ক করা হবে পেছন থেকে যাওয়ার মতো। বরং বর্তমান সহ-অধিনায়ক কামিন্সকেই অধিনায়ক করে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত, ‘আমার মনে হয় না পিছনে যাওয়া উচিত। সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখন। স্মিথের কাছে যাওয়া মানে পেছনে হাঁটা। সেটা করা ঠিক নয়। কামিন্সকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।’
তবে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় কামিন্স নিজেও কতটা শুদ্ধ সেই কথাও উঠছে। টেম্পারিং ঘটনায় স্মিথদের সঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়া ব্যাটসম্যান ক্যামেরন বেনক্রফট সম্প্রতি জানিয়েছেন, টেম্পারিংয়ের ঘটনা জানতেন বোলাররাও। অর্থাৎ কামিন্সও ব্যাপারটা অবগত ছিলেন।
কামিন্সকে অধিনায়ক করতে চ্যাপেল এটাকেও বাধা মনে করছেন না। সাবেক এই অধিয়ানায়কের মতে মূল দায় ওই সময় অধিনায়কত্ব করা স্মিথেরই, ‘স্মিথেরই মূল দায়িত্ব ছিল। সে চাইলে এটা থামিয়ে দিতে পারত। যদি প্রমাণ হয় বোলাররা জানত তবু কামিন্সের উপর দায় দেওয়া যায় না।’
টিম পেইন ২৩ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছেন ১১ ম্যাচ। ৮ হার আর ৪ ড্র আছে তার আমলে। তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে না পারা বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও চারে নেমে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
Comments