সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তা: ১১ নাগরিকের বিবৃতি

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রেখে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ১১ নাগরিক।
এতে বলা হয়, অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহকালে যেভাবে কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে সংকট মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস পরিচালিত হচ্ছে তা সর্বতোভাবে জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সমবেত রয়েছি। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছেন। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারও বিভিন্ন সময় বিব্রত হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামসহ অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সহযোগিতা দ্বারা সরকার উপকৃত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম আক্রান্ত হওয়ার কার্যকারণ আরও তলিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করার দাবি আমরা জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবেন। তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা— সরকার ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেওয়া ব্যবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বিবৃতি দিয়েছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, শিক্ষাবিদ ও লেখক অনুপম সেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারোয়ার আলী ও মফিদুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, লেখক আবদুস সেলিম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
Comments