সংক্রমণ ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ভাড়া, ফিরছেন মানুষ
ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ রয়েছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ফেরিগুলোতে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে।
আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, আজ ভোর থেকে এ নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।
যাত্রীরা ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল ও ভাড়াচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। তবে, বাস চলাচল না করার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাউকে এ বিষয়ে তদারকি করতে দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।
আরাফাত হোসেন নামে এক যাত্রী ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে হলেও কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকার পোস্তগোলা পর্যন্ত অটোরিকশা ভাড়া জনপ্রতি ছিল ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত।’
তিনি জানিয়েছেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে কদমতলী পর্যন্ত ১৫০ টাকা ও পিকআপ ভ্যানে জনপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে।
অপর যাত্রী আওলাদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাট থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়ে অটোরিকশায় জনপ্রতি ভাড়া ছিল ১০০ টাকা। এখন যাত্রীদের জিম্মি করে ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে।’
কোনো যাত্রী এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে কোনো অটোরিকশা তাকে নিচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঈদ শেষে হাজারো যাত্রী কর্মস্থলে ফিরছেন। ফেরিগুলোতে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভীষণ চাপ আছে। আজ ভোর থেকে কয়েকটি ফেরিতে শুধু যাত্রীই পার করা হয়েছে।’
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতেও যাত্রীরা যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকার কারণে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।’
‘যাত্রীদেরকে মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হলেও তারা মানছেন না,’ যোগ করেন তিনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. হিলাল উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি জানিয়েছেন, ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় ৫০টির মতো গাড়ি আছে। অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিতে আগে দেওয়া হচ্ছে।’
Comments