রাবির ‘অবৈধ’ নিয়োগের ‘বৈধতা’ চায় নিয়োগপ্রাপ্তরা

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষিত ‘অবৈধ’ উপায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা নিয়োগ পাওয়া পদে যোগদানের অনুমতির দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষিত ‘অবৈধ’ উপায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা নিয়োগ পাওয়া পদে যোগদানের অনুমতির দাবি জানিয়েছেন।

আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দলীয় বসার জায়গায় (টেন্ট) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এই দাবির কথা জানানো হয়।

এছাড়া নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা প্রত্যাহারের দাবিও জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, রাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাত শতাধিক পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য ছিল। ওই সব পদে নিয়োগ পেতে তারা উপাচার্যের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিলেন। উপাচার্যের কাছে একাধিক বার জীবন বৃত্তান্তও জমা দিয়েছিলেন তারা।

‘এরই পরিপ্রেক্ষিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে শূন্য পদের বিপরীতে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সাবেক ও বর্তমান ১৩৭ নেতাকর্মীদের অস্থায়ী ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেন। যারা স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্রের হাতে হামলাসহ নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।’

নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, ‘১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্যের দেওয়া নিয়োগকে অবৈধ বলার কোনো সুযোগ নেই। এই নিয়োগকে যদি অবৈধ ঘোষণা করতে হয়, তবে ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের সংশ্লিষ্ট ধারা বাতিল করা উচিত।’

তারা আরও বলেন, এডহক নিয়োগ বন্ধ রাখতে ২০০৯ সালেও একই রকম নিষেধাজ্ঞা মন্ত্রণালয় থেকে এসেছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আইনের এখতিয়ারে এডহক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু রয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের ব্যবস্থা করতে তারা প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টগর মোহাম্মদ সালেহ, ইলিয়াস হোসেন, ফারুক হোসেন, আতিকুর রহমান সুমন, তৌহিদ মোর্শেদসহ প্রায় ৩৫ জন।

উল্লেখ্য, ৬ মে বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে ১৩৭ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে যান। এদিন সন্ধ্যায় এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবার কথা রয়েছে। এদিকে ৮ মে, তদন্ত থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই নিয়োগে যোগদান সংশ্লিষ্ট সকল প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

আরও পড়ুন:

মানবিক কারণে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়োগ দিয়েছি: সাবেক ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহান

রাবিতে এডহক নিয়োগের যোগদান স্থগিত

রাবি উপাচার্যের নিয়োগ দুর্নীতি: ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি রাবিতে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ অবৈধ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

রাবি উপাচার্যের জামাতার বিরুদ্ধে ‘গোপন নথি’ চুরির অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহানগর ও রাবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

‘দুর্নীতিবিরোধী’ শিক্ষকদের বাধার মুখে রাবি সিন্ডিকেট সভা স্থগিত

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago