আজও গাদাগাদি করে ফিরছে মানুষ, শিমুলিয়া ঘাটে নেমে পরিবহন সংকটে ভোগান্তি

রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মাহিম হোসেন। ঈদের বন্ধে বাড়ি গিয়েছিলেন। কর্মস্থলে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১০টায় ফেরি পার হয়ে তিনি শিমুলিয়া ঘাটে আসেন। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ঢাকায় ফেরার যানবাহন পাননি।
Shimulia_20May21.jpg
আজ বৃহস্পতিবার সকালেও শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা যায়। গাদাগাদি করে ফিরছে মানুষ। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মাহিম হোসেন। ঈদের বন্ধে বাড়ি গিয়েছিলেন। কর্মস্থলে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১০টায় ফেরি পার হয়ে তিনি শিমুলিয়া ঘাটে আসেন। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ঢাকায় ফেরার যানবাহন পাননি।

মাহিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ফেরি পর্যাপ্ত চললেও শিমুলিয়া ঘাটে নামার পরে পরিবহন সংকটে পড়তে হচ্ছে। যেসব যানবাহন চলছে, সেগুলো অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে। যার কাছে যেমন নিতে পারে। দরদাম করছি, কম ভাড়ায় কোনো যানবাহন পেলে উঠে পড়বো।’

যাত্রীরা অভিযোগ করেন, শিমুলিয়া ঘাট থেকে বের হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, ভাড়ায়চালিত ব্যক্তিগত গাড়ি ও পিকআপ ভ্যান পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর গন্তব্য ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ও পোস্তগোলা পর্যন্ত। অটোরিকশায় ঘাট এলাকা থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া ১৫০ টাকা, সেখানে এখন নেওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। কদমতলীর ভাড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এখন সেখানে নেওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

স্বাভাবিক সময়ে পিকআপ ভ্যানে যাত্রী পরিবহন করা হয় না। ঈদ উপলক্ষে এবার পিকআপ ভ্যান চলাচল করছে। ঘাট এলাকা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত যাত্রী নিচ্ছে তারা। সর্বনিম্ন ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। এর চেয়ে বেশি যার কাছে যেমন পারছে তা-ই নিচ্ছে— বলেন যাত্রীরা।

আওলাদ হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘যানবাহনগুলোতে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়ে মানুষ যাচ্ছেও। কিন্তু প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কাউকে ভাড়া নিয়ন্ত্রণে দেখা যায়নি। মুক্তারপুর শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত অটোরিকশার ভাড়া ১০০ টাকা। ঈদকে কেন্দ্র করে ২৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। রীতিমত ডাকাতি।’

শিমুলিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকামুখী মানুষ আজও গাদাগাদি করেই ফিরছেন। আজ সকাল সোয়া ১১টা পর্যন্ত প্রায় ১১টি ফেরি মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসে। প্রতিটি ফেরিই ছিল মানুষ ঠাসা। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ফয়সাল আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে ছোট বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। আমরা মাইকিং করছি, সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। কিন্তু যাত্রীরা শুনছেন না। অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।’

ঘাট এলাকা থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে মাওয়া ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। যাত্রীদের অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comments