সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা: পেছাল রিটের শুনানি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা ও রেস্তোরাঁ নির্মাণ কাজ বন্ধ চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি আগামী দুই সপ্তাহের জন্য মূলতবি ঘোষণা করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
গত ১১ মে একই বেঞ্চ ২০ মে পর্যন্ত যেন গাছ কাটা না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আজ ওই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আদালত তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনজীবী মাহবুবুল ইসলাম ও রিপন বাড়ইয়ের পক্ষে মনজিল মোরসেদ আবেদনটি করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৭ জুলাই এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
তাতে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যেখানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে ভাষণ দিয়েছিলেন এবং ১৬ ডিসেম্বর যেখানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই জায়গাও সংরক্ষণের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া, ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বঙ্গবন্ধুকে সম্ভাষণ জানিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষণ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামিম আখতার ও প্রধান স্থপতি মীর মনজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, এই একই বিষয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের বেঞ্চে আরেকটি রিট আবেদন রয়েছে।
আরও পড়ুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ আপাতত কাটা যাবে না: হাইকোর্ট
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা: আদালত অবমাননার আবেদন
‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা অত্যন্ত অন্যায় কাজ’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে আইনি নোটিশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আহত কেন?
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছগুলো কেন কাটতে হবে?
Comments