লুকানোর কিছু নেই, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটি কয়েক লোকের কারণে প্রশ্নের মুখে পড়ছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তার দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি আরও বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটি কয়েক লোকের কারণে আমরা প্রশ্নের মুখে পড়ছি। আমাদের লুকিয়ে রাখার কিছু নেই, আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তার দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি আরও বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটি কয়েক লোকের কারণে আমরা প্রশ্নের মুখে পড়ছি। আমাদের লুকিয়ে রাখার কিছু নেই, আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা ছিল। তখনও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সারা বাংলাদেশকে এভাবে সমালোচনার মুখে ফেলেনি। এই করোনার সময় সাংবাদিকতা এবং তথ্য প্রকাশ নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, আপনারাসহ সব মন্ত্রণালয় চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটি কয়েক কর্মকর্তার আচরণ সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশি হিসেবে এবং নাগরিক হিসেবে আমাদের অসন্মানের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বিষয়টি আপনাদের নজরে এসেছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। কারণ শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে সংবাদপত্রবান্ধব সরকার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লুকানোর কিছু নেই। যে ঘটনাটি ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। সেটা হেলথ মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজ করা উচিত। আমি বলতে পারি, এটা আমার সরকারের জন্য দুঃখজনক ঘটনা। গুটি কতক লোকের কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আমি জানি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিসেবে এটা আমাদের ফেস করতে হবে। অনেকে আমাদের এই নিয়ে প্রশ্ন করবে। আমরা এই ধরনের ঘটনা চাই না। যেহেতু এটি বিচারাধীন আছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে পারি না। এটা আমার বিষয়ও না। এই ধরনের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেটাই আশা করবো।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কাল হানিফ (আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ) খুব সুন্দরভাবে বলেছেন। এ ছাড়া আমার সহকর্মীরা প্রত্যেকে বলেছেন, রোজিনা ইসলাম ন্যায় বিচার পাবেন। তারা আরও বলেছেন, এটা অনভিপ্রেত। আমরা সবাই চাই, সংবাদমাধ্যম দেশের বিরাট কাজ করছে। আপনাদের কারণেই আমরা সেই বালিশের কাহিনী শুনেছি। আপনাদের কারণে লাখ টাকা সুপারি গাছের কথা শুনেছি, সাহেদ করিমের তথ্য পেয়েছি। আপানারা খুব সাহায্য করছেন। আপনারা সরকারের সাহায্য করেন। কোনো কোনো জায়গায় কিছুটা অসুবিধাজনক অবস্থার সৃষ্টি হলে আমাদের সরকারের জন্য অসুবিধা হয়।’

এ রকম জরুরি কোনো ডকুমেন্ট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে থাকার সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আছে। সব মন্ত্রণালয়েই থাকতে পারে। ভ্যাকসিন কো-প্রডাকশন করতে গেলে আমরা যে অথরাইজেশন করলাম, সেখানে কিছু তথ্য— আমি জানি না হয়তো থাকতে পারে। সিক্রেসি কিছু থাকতেও পারে। তবে সেটা আমি জানি না, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।’

আগামী সপ্তাহের মধ্যে চীন থেকে ভ্যাকসিন কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কানাডায় কিছু অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন আছে। আমরা এখনো রোহিঙ্গাদের ভ্যাকসিন দিতে পারিনি। আমি কানাডার হাই কমিশনারকে ডেকে বলেছি, আপনারা বলেছেন আমাদের সাহায্য করবেন। তিনি শুনে গেছেন এবং বলেছেন, আলোচনা করবেন। আমরা বলেছি, সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরে হয়তো আমাদের লাগবে না। আমরা নিজেরাই উৎপাদন করবো। এই মুহূর্তে আমাদের খুব প্রয়োজন।’

আমরা চেষ্টা করবো যেন আমাদের টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকে— বলেন আব্দুল মোমেন।

Comments

The Daily Star  | English

Students besiege HC demanding resignation of 'pro-AL fascist judges'

A group of students marched to the High Court premises to besiege the court, demanding the resignation of "pro-Awami League fascist judges"

1h ago