‘ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি’
এক সিরিজে কোনো ক্রিকেটার ডাক পাচ্ছেন তো পরের সিরিজে হচ্ছেন উপেক্ষিত। কখনো কখনো বাদ পড়ছেন ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেয়েই। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় বাছাইয়ে নির্বাচকদের এমন অগোছালো সিদ্ধান্ত নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচনা কম হয়নি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটির জন্য ঘোষিত দলে নেই খুব বেশি পরিবর্তন। অবধারিতভাবে ফিরেছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাকি যারা সুযোগ পেয়েছেন, তারা সবাই ছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরে সবশেষ সীমিত ওভারের সিরিজে। বাদ পড়াদের তালিকায় বড় নামটি নাজমুল হোসেন শান্তর। দল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন বলেছেন, ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে দলে তেমন একটা অদল-বদল আনতে চাননি তারা।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্ট্যান্ডবাই তালিকায় রাখা হয়েছে আরও চার জনকে। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাঁধেই থাকছে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব।
দল নিয়ে মিনহাজুল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে (গত জানুয়ারিতে) আমরা ভালো ওয়ানডে সিরিজ খেলেছি। ৩-০ ব্যবধানে জিতেছি। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করার তাগিদে আমরা খুব বেশি পরিবর্তন আনিনি। মোটামুটি সবাই দলে আছে। আশা করি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও আমরা ভালো করব।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্ট্যান্ড-বাই তালিকা তৈরির কথা জানিয়েছেন তিনি, ‘আমরা ১৫ জনের স্কোয়াড দিয়েছি এবং চার জন স্ট্যান্ডবাই আছে। নাঈম শেখ, তাইজুল (ইসলাম), শহিদুল (ইসলাম) ও (আমিনুল ইসলাম) বিপ্লব আছে।... ১৯ জনের স্কোয়াডই আমরা তৈরি করেছি। কারণ, কোভিডের মধ্যে বলা যায় না কখন কাকে লাগে। স্ট্যান্ডবাই চার জনও দলের সঙ্গেই থাকবে।’
নিজেদের মাটিতে চেনা পরিবেশে খেলা বলেই সিরিজে ভালো করা নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘ঘরের মাঠের সিরিজে আমরা সবসময়ই তুলনামূলক ভালো ক্রিকেট খেলি। এই সিরিজেও তাই হবে আশা করি। নিউজিল্যান্ডে ভালো করতে পারিনি। কিন্তু ঘরের মাঠে খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাসী আছে। আমরাও আত্মবিশ্বাসী।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগামী ২৩ মে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার প্রথম ওয়ানডে। একই ভেন্যুতে পরের দুটি ওয়ানডে হবে ২৫ ও ২৮ মে। দিবারাত্রির সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর একটায়।
Comments