১১০০ টাকায় গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা!

ঈদের ছুটি শেষ, কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় একাধিক গাড়ি বদল করে প্রায় পাঁচ গুন বেশি ভাড়া দিয়ে হলেও ফিরছেন যাত্রীরা। ঈদের আট দিন পর আজ শুক্রবার যাত্রীদের ঢাকা ফিরতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে দেখা গেছে।
একাধিক গাড়ি বদল করে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে হলেও ঢাকায় ফিরছেন যাত্রীরা। স্টার ফাইল ফটো

ঈদের ছুটি শেষ, কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় একাধিক গাড়ি বদল করে প্রায় পাঁচ গুন বেশি ভাড়া দিয়ে হলেও ফিরছেন যাত্রীরা। ঈদের আট দিন পর আজ শুক্রবার যাত্রীদের ঢাকা ফিরতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে দেখা গেছে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে ঢাকার পথে ফেরা মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টারের। তিনি জানান, স্বাভাবিক সময়ে মুকসুদপুর থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট পর্যন্ত মাইক্রোবাসে জনপ্রতি ১২০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়। তবে ঈদের কারণে এই ভাড়া বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ফেরিঘাট থেকে ঢাকা পর্যন্ত যেতেও একই অবস্থা। আগে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মাইক্রোবাসে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হতো। এখন সেখানে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা করে।

অতিরিক্ত ভাড়া আর যাত্রাপথের ভোগান্তির কারণে তার চোখেমুখে ছিল ক্রোধ। তিনি বলেন, ‘দুইশ-আড়াইশ টাকার ভাড়া ১১০০ টাকা দিতে হচ্ছে।’

ভাড়া বেশি নিলেও পরিবহন সংকট রয়েছে বলেও জানান যাত্রীরা।

কয়েকজন যাত্রী ডেইলি স্টারকে জানান, অটোরিকশায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে কদমতলী পর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, সিএনজিতে বাবুবাজার পর্যন্ত ২৫০-৩০০ টাকা এবং মুক্তারপুর পর্যন্ত জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. হিলাল উদ্দিন জানান, যাত্রীদের কাছ থেকে এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

3 buses set on fire within 10 minutes

The incidents were reported in the capital's Gabtoli, Agargaon, and Sayedabad

8h ago