দিল্লিতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাদান স্থগিত

টিকার তীব্র সংকটের কারণে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের করোনার টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে।
ভারতের নয়াদিল্লিতে একটি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের সঙ্গে লড়ছেন করোনা আক্রান্ত এক নারী। ছবি: রয়টার্স

টিকার তীব্র সংকটের কারণে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের করোনার টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে।

আজ রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজধানী দিল্লির জন্যে আরও বেশি সংখ্যক টিকা বরাদ্দ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, দিল্লির জন্য প্রতি মাসে অন্তত ৮০ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োজন। কিন্তু, চলতি মে মাসে রাজ্যটি পেয়েছে মাত্র ১৬ লাখ ডোজ।

আগামী মাসে এই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কারণ, আগামী জুনে দিল্লি জন্যে মাত্র আট লাখ ডোজ টিকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে কেজরিওয়াল বলেছেন, এই গতিতে চলতে থাকলে দিল্লির সব মানুষকে টিকা দিতে অন্তত ৩০ মাস লেগে যাবে।

চিঠিতে কেজরিওয়াল দিল্লির জন্য টিকার বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের চলতি ঢেউয়ে মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ ও যুবক। কিন্তু, দিল্লির তরুণদের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা শেষ হয়ে গেছে।’

টিকার সরবরাহ বাড়াতে কেজরিওয়াল কেন্দ্রকে চারটি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে— ভারত বায়োটেকের ফর্মুলা ব্যবহার করে দেশের কোম্পানিগুলোকে টিকা উৎপাদন করতে বলা (যেহেতু ভারত বায়োটেক তাদের ফর্মুলা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে); বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকা ভারতে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া; বিদেশি কোম্পানিগুলোকে ভারতেই টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া এবং যেসব দেশে চাহিদার তুলনায় টিকার পর্যাপ্ত মজুদ আছে সেসব দেশ থেকে ভারতের জন্যে টিকা আনার ব্যবস্থা করা।

কেজরিওয়াল বলেন, করোনার নতুন ঢেউ থেকে দেশকে বাঁচাতে একমাত্র উপায় হচ্ছে সবচেয়ে কম সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের টিকাদান নিশ্চিত করা।

তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি সরকার করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে বিছানা, অক্সিজেন, আইসিইউ ও প্রয়োজনীয় ওষুধসহ সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে। কিন্তু টিকার সংকটই এখন সবার মূল উদ্বেগের বিষয়।

কেজরিওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি, ৬৫ বছর বয়সী এক নারী আমাকে ফোন করে জানান তিনি ও তার ৩৫ বছর বয়সী ছেলে টিকা নিতে চান। আমি তাকে বলি, যুবকদের জন্য টিকার মজুত শেষ হয়ে গেছে। চাইলে তিনি (নারী) টিকা নিতে পারেন। তখন তিনি খানিকক্ষণ ভেবে তার বদলে তার ছেলেকে টিকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কারণ তার ছেলেকে পরিবার চালাতে হয়। তাই তার নিজের চেয়ে ছেলের সুরক্ষার বিষয়টি জরুরি। তার এ কথা আমাকে খুব মর্মাহত করেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago