কৃষকের পদচারণায় মুখর বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠগুলোতে নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। এ অবস্থায় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার কৃষকরা বিদ্যালয়ের মাঠে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ করছেন।
পাশাপাশি মাঠগুলোকে ভুট্টা ও খড় শুকানোর কাজেও লাগাচ্ছেন কেউ কেউ।
শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পাঁচ হাজারের কাছাকাছি। যার প্রায় সবগুলোতেই খেলার মাঠ রয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার ইন্দ্রারপাড় গ্রামের কৃষক মজিদুল ইসলাম (৪৮) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকার কারণে মাঠগুলো আমাদের অনেক উপকারে এসেছে। ধান শুকানো ও মাড়াইয়ের পাশাপাশি ভুট্টা ও খড় শুকানোর জন্যও মাঠগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠ না থাকলে রাস্তার ওপরেই কাজগুলো করতে হয়।’
কথা হয় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চায়না বাজার এলাকার কৃষক নাজির উদ্দিনের (৫৬) সঙ্গে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে মাঠ ব্যবহার করে উপকৃত হওয়ার কথা জানালেও দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার বিষয়টিও তাকে ভাবাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে স্কুল বন্ধ থাকার কারণেই মাঠগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারছি। কিন্তু আমাদের ছেলে-মেয়েদেরও তো ক্ষতি হচ্ছে।’
লালমনিরহাট সদরের মোগলহাট এলাকার স্কুলশিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন পড়ে থাকা মাঠগুলো কৃষকদের কাজে আসায় খুশি। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে ধান মাড়াই কিংবা খড় শুকানোর কাজের জন্য আমাদের স্কুলের মাঠটা খানিকটা নোংরা হচ্ছে। তবে স্কুল খুললে মাঠ পরিষ্কার করে আবার তা বাচ্চাদের খেলার উপযোগী করে তোলা হবে।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠগুলো কর্মমুখর থাকে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা যেন মাঝে-মধ্যে বিদ্যালয়ে গিয়ে মাঠগুলোর খোঁজ-খবর নেন।’
Comments