ভারতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট ৪৯ দেশে

ভারতে বর্তমানে করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি বিস্তার করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে বর্তমানে করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি বিস্তার করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।

বৈশ্বিক বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভ্যারিয়েন্টটি শুধু ভারতেই নয় সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে।’

হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘গবেষকরা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ভারতে এই ভ্যারিয়েন্টের ৬৫ শতাংশ উপস্থিতি পেয়েছে।’

এই তথ্যটি জিআইএসএআইডি ইনিশিয়েটিভ নামে পরিচিত বৈশ্বিক ডাটাবেসের তথ্যের সঙ্গেও মিলে যায়। যেখানে বলা হয়েছে, ভারতে চলমান ৪৫ দিনের নমুনা বিশ্লেষণ করে ৭০ শতাংশে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। যা ৪৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

মন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড-১৯ বিষয়ক ২৭তম সভায় হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘আইএনএসএসিওজি ২৫ হাজার ৭৩৯টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে নয় হাজার ৫০৮টিতে উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্টের মিল পেয়েছে। যার মধ্যে ৬৫ শতাংশে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়।’

আইএনএসএসিওজি হলো ভারতের কেন্দ্র পরিচালিত ১০টি ইনস্টিটিউটের একটি, যা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে থাকে।

জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নিয়মিত নমুনা পাঠাতে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট তিনটি সমগোত্রীয় ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে ভাইরাসটির বংশবিস্তার ঘটায়। সেগুলো হলো- বি.১.৬১৭.১, বি.১.৬১৭.২, বি.১.৬১৭.৩।

গত ৪৫ দিনে ভারতে নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ শতাংশ বি.১.৬১৭.১ এবং বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি বিস্তার করেছে। এই ভ্যারিয়েন্ট ১ মার্চে এক শতাংশের মতো থাকলেও মে মাসের শুরুতেই ৭০ শতাংশের বেশি হয়েছে।

আউটব্রেক.ইনফো অনুসারে, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি এবং বিহারে বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি থাকতে পারে।

বি.১.৬১৭.১ সামান্য ভিন্ন এবং সম্প্রতি বি.১.৬১৭.২ এর কারণে এর প্রভাব কমেছে বলে মনে করা হয়। এটি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, অন্ধ্র প্রদেশ এবং মধ্য প্রদেশ বেশি বিস্তার করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Unrest emerges as a new threat to RMG recovery

The number of apparel work orders received by Bangladeshi companies from international retailers and brands for the autumn and winter seasons of 2025 dropped by nearly 10 percent compared to the past due to major shocks from the nationwide student movement and labour unrest in major industrial belts over the past two and half months.

9h ago