ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের নদ-নদী আগের চেয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বরিশালে দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি চলছে। এরমধ্যে বিভাগের ভোলা জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের কারণে পানি বেড়েছে। এতে অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
ভোলা জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি বেড়ে অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের নদ-নদী আগের চেয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বরিশালে দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি চলছে। এরমধ্যে বিভাগের ভোলা জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের কারণে পানি বেড়েছে। এতে অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই পানি দ্রুতই নেমে যাবে। ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম মিঞা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের সব ধরণের প্রস্তুতি আছে। সংকেত পেলেই তারা ‘ইভাকুয়েশন’ শুরু করবেন। 

তিনি জানান, মনপুরা বেড়িবাঁধের বাইরে রাস্তা ধরে হাজির হাট থেকে উত্তর ও দক্ষিণ সাকুচিয়া পর্যন্ত পূর্ণিমার জোয়ার ও ঝড়ো বাতাসের প্রভাবে পানি ঢুকেছে। 

ইউএনও বলেন, 'আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত আছে। বিপদাপন্নদের ট্রলারে করে দ্রুত  সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।'

ভোলা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আনিচুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকা ঢালচর ও চর নিজাম থেকে মানুষদের সরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।'

তিনি জানান, জেলায় ৬৯১টি আশ্রয় কেন্দ্রের অন্তত পাঁচ লাখ ২৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার সক্ষমতা তাদের আছে। এ ছাড়া স্কুল, উঁচু ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়নি। পরবর্তী সংকেত পেলে লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ আছে।

যোগাযোগ করা হলে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিভাগে চার হাজার ৯১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago