বাংলাদেশের শুরুর সাফল্যের কৃতিত্ব দুই বাঁহাতি পেসারের
শেষবার ওয়ানডেতে বাংলাদেশের একাদশে দুই বাঁহাতি পেসার থাকার ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯০ সালে। ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে খেলেছিলেন গোলাম নওশের ও জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার। ৩১ বছর পর ফের দুই বাঁহাতি পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। আর শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের হাত ধরেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথম দুটি সাফল্য পেয়েছে স্বাগতিকরা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৪৭ রানের জবাবে ব্যাট করছে লঙ্কানরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ১৭ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৭ রান। উইকেটে আছেন পাথুম নিসানকা ৩২ বলে ১৯ ও কুসল মেন্ডিস ৯ বলে ১০ রানে।
পঞ্চম ওভারেই সাফল্য পেতে পারত বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের কনকাশন বদলি হিসেবে নামা তাসকিন আহমেদের বাউন্সার দানুস্কা গুনাথিলাকার গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। কিন্তু ফিল্ডাররা নিশ্চিত ছিলেন না। ফলে জোরালো আবেদন হয়নি। রিভিউও নেননি অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ব্যক্তিগত ৮ রানে জীবন পাওয়া গুনাথিলাকা অবশ্য বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হতে পারেননি। ১৪তম ওভারে তাকে ডিপ পয়েন্টে সাকিব আল হাসানের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান তারকা বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। ফলে দলীয় ৫৩ রানে পতন হয় লঙ্কানদের দ্বিতীয় উইকেটের। গুনাথিলাকার সংগ্রহ ২৪ রান। তার ৪৬ বলের ইনিংসে চার ২টি।
এর আগেই বাংলাদেশকে উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুল। অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নেমে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তিনি আউট করেন কুসল পেরেরাকে। উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে তামিমের হাতে ধরা পড়েন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। ১৫ বলে ২ চারে ১৪ করে তিনি যখন বিদায় নেন, তখন স্কোরবোর্ডে দলটির রান ছিল ২৪।
উইকেট থেকে বেশ সাহায্য পাচ্ছেন বাংলাদেশের পেসাররা। বল স্কিড করছে। দেখা মিলছে বাড়তি বাউন্সেরও। তাসকিন, শরিফুল ও মোস্তাফিজের আঁটসাঁট বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা। তাদের দলীয় ৫০ পূরণ হয় ইনিংসের ১৩তম ওভারে।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে মুশফিকের ব্যাটে। চারে নেমে এই অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটসম্যান খেলেন ১২৭ বলে ১২৫ রানের নান্দনিক ইনিংস। বাউন্ডারি হাঁকানোর ঝুঁকি না নিয়ে সিঙ্গেলস-ডাবলসে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি চার মারেন ১০টি।
মুশফিকের অনবদ্য নৈপুণ্যের পরও ১১ বল বাকি থাকতে ২৪৬ রানে অলআউট হট বাংলাদেশ। কারণ, মাহমুদউল্লাহ (৫৮ বলে ৪১ রান) ছাড়া বাকিরা উল্লেখযোগ্য কোনো অবদা রাখতে পারেননি। লঙ্কানদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন পেসার দুশমন্থ চামিরা ও স্পিনার লাকশান সান্দাকান।
একই ভেন্যুতে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জিতলেই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতার স্বাদ নেবে টাইগাররা।
Comments