আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা
আজ বুধবার শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই তিথিতে নেপালের লুম্বিনীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ রাতেই তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায় বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন। এ ছাড়াও, তার মৃত্যু হয়েছিল এ রাতেই।
গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান লাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ও বলা হয়ে থাকে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘মহামতি বুদ্ধ একটি সৌহার্দ ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। “অহিংস পরম ধর্ম” বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমাজে শান্তির জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। আজকের এই অশান্ত ও অসহিষ্ণু বিশ্বে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ, ধর্ম-বর্ণ-জাতিতে হানাহানি রোধসহ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহামতি বুদ্ধের দর্শন ও জীবনাদর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল থেকে এদেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে আসছেন। এই দেশে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবগুলো অত্যন্ত আনন্দ ও প্রীতির মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে। এই বন্ধন ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে। আমাদের এই সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
সংবাদ সংস্থা বাসস জানিয়েছে, দিনভর নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটি উদযাপন করে থাকেন। বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাসাবো সবুজবাগ বৌদ্ধ বিহার দিবসটি উৎসবমুখর ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপনের জন্য দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বুদ্ধপূজা, মহাসংঘদান ও আলোচনাসভা।
করোনা মহামারির কারণে এ বছর সব কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হবে।
Comments