কয়রায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনার কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বুধবার সকাল থেকে স্থানীয়রা কোনোমতে মাটি দিয়ে বাঁধ টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও দুপুরে জোয়ারের তোড়ে কয়রার ৩টি বাঁধ ভেঙে যায়।
কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়ের দশালিয়া গ্রামের প্রায় ৫০০ মিটার বাঁধ ভেঙে দশালিয়াসহ গোবিন্দপুর ও আটরা গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের আংটিহারা এলাকার প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। প্লাবিত হয়েছে পদ্মপুকুর আংটিহারা ও খাশিটানা গ্রাম।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড -২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুল রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কয়রার চৌদ্দটি স্পট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর কয়েকটি আজ অস্বাভাবিক পানির তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। আমরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেগুলো মেরামতের চেষ্টা করছি। আমরা ৩০,০০০ জিও ব্যাগ মজুত রেখেছি যেগুলো ওভারফ্লো প্রতিরোধে কাজে লাগানো হবে।
কয়রার নদ-নদীতে ৪ ফুট পর্যন্ত পানি বেড়েছে। নদ-নদী উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বেদকাশীর কাটকাটা এলাকার বাসিন্দা মোখলেসুর রহমান আজ দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এতো জোয়ারের পানি আগে কখনো দেখেনি, আম্পানের সময়ের চেয়েও নদীতে পানি বেশি।
তিনি বলেন, এখানকার রত্নারঘেরি ওয়াবদা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে মাটির বস্তা ফেলে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছি। গত পাঁচ বছরে এই বেড়িবাঁধ সংস্কার হয়নি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কয়েবশ নারী-পুরুষ মাটির বস্তা ফেলে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়া সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ইতোমধ্যে স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বেড়িবাঁধ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সে লক্ষ্যে আগে থেকে সংস্কার কাজ চলছিল। আজ যে সব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে দ্রুত মেরামত করা হবে।
Comments