তলিয়ে গেছে ভোলার অন্তত ৩০টি চর
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরিশাল ও ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রবল জোয়ারে ভোলার ৪০টি চরের মধ্যে অন্তত ৩০টি চর ছয় থেকে সাত ফুট পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এসব চরে প্রায় দুই লাখের মতো লোকের বসবাস।
আজ বুধবার দুপুরে ভোলা জেলার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপপরিচালক আবদুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভোলার ৪০টি চরের মধ্যে অন্তত ৩০টি পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব চর থেকে মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। এ মুহূর্তে পানি বৃদ্ধি এখানে প্রধান সমস্যা।
কোন কোন এলাকা ছয় থেকে সাত ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
ভোলার মনপুরা থেকে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাতেই কিছু মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পূর্ণিমার কারণে আরও পানি বেড়ে গেছে।'
'ঘূর্ণিঝড় নয় এখন আমাদের জোয়ারের পানি বৃদ্ধিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ,' বলেন তিনি।
মনপুরা বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন হাজিরহাট-উত্তর ও দক্ষিণ সাকুচিয়া বরাবর রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভোলা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ভোলা সদরের চারটি চরের মধ্যে দুটি প্লাবিত হয়েছে। মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তুলাতলি ও দালালবাজার পয়েন্টে বাধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলে জিও ব্যাগ ফেলে তা মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বরিশালের হিজলা উপজেলার পুরাতন হিজলা পয়েন্টে ৩০০ মিটার বাধ তলিয়ে গেছে। বরিশাল কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায় দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মুলাদী উপজেলার কাজীর চরের রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে। বাকেরগঞ্জের নলুয়া ইউনিয়নের বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে সেটি মেরামত করে। উজিরপুর উপজেলার চার থেকে পাঁচটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা পানি বন্দী অবস্থায় আছে।
এছাড়া, বরিশাল সদরের পলাশপুর, সাগরদি, চরবাড়িয়া এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়ে অন্তত এক হাজার মানুষ পানি বন্দী অবস্থায় আছে বলে জানান তিনি।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পানি বৃদ্ধি ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। অন্তত চার হাজার ৯১৫টি সাইক্লোন শেল্টারে ২০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
Comments