শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ‘প্রত্যাখ্যান’ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
১২ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেবেন তারা।
আজ বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবির কথা জানিয়েছেন তারা।
‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের’ পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য বরাবর এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি পেশ করার আহ্বান জানান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বর্ধিত করার পেছনে শিক্ষামন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিনের অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করেছেন। অথচ কল-কারখানা, অফিস, শিল্প প্রতিষ্ঠান; এমনকি গণপরিবহন কোনো কিছুই বন্ধ নেই। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে, ভ্যাকসিন নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তার জন্য দায়ী সরকারি নীতি-নির্ধারক ও তাদের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় সেশনজটে পড়ে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর চাকরি ও টিউশনও নেই।’
একটি দৈনিক পত্রিকার জরিপে তথ্য উপস্থাপন করে বলা হয়, ‘গত ৫ মাসে প্রায় ৩৯ জন ঢাবি শিক্ষার্থী নিজ এলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন। ৮০ জন শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ, ক্যাম্পাসেই ঢাবি ছাত্র হাফিজুর রহমানের অস্বাভাবিক ও নির্মম মৃত্যু হয়।’
Comments