বায়ার্নে নিজের উত্তরসূরি হিসেবে টুখেলকে চেয়েছিলেন গার্দিওলা
বায়ার্ন মিউনিখের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার আগে নিজের উত্তরসূরি হিসেবে একজনকে মনে ধরেছিল পেপ গার্দিওলার। তার নাম শুনলে চমকে উঠতেই হয়। কারণ, তিনি আর কেউ নন, আসন্ন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গার্দিওলার প্রতিপক্ষ টমাস টুখেল!
জার্মানির ক্রীড়া বিষয়ক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন বিল্ডকে এই তথ্য দিয়েছেন মাইকেল রাশকে। পেপ যখন ২০১৬ সালে বায়ার্ন ছাড়েন, তিনি তখন ছিলেন জার্মানির সফলতম ক্লাবটির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। তার কাছেই টুখেলকে বায়ার্নের পরবর্তী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন গার্দিওলা।
রাশকে বলেছেন, ‘গার্দিওলার মতে, বায়ার্ন মিউনিখে টুখেল ছিল তার সহজাত উত্তরসূরি। “মাইকেল, টুখেল যেন এখানে আসে সেটা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে,” এটা সে আমাকে বলেছিল।’
তারকা স্প্যানিশ কোচ গার্দিওলার প্রস্তাব অবশ্য রাখতে পারেনি বায়ার্ন তারা দায়িত্ব দিয়েছিল কার্লো অ্যানচেলত্তিকে। কিন্তু এই অভিজ্ঞ ইতালিয়ান কোচ প্রত্যাশা পূরণ করতে হয়েছিলেন ব্যর্থ। ফল হিসেবে এক মৌসুমের কিছু বেশি সময় পরই তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
গার্দিওলার বিদায়ের সময় জার্মান কোচ টুখেলের বায়ার্নে যোগদান করা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল ঠিকই। তবে তিনি সেসময় ছিলেন বাভারিয়ানদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দায়িত্বে। চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়ায় এবং ডর্টমুন্ড দারুণ ছন্দে থাকায় টুখেলের বায়ার্নের কোচ হওয়া তখন বলা চলে অসম্ভবই ছিল।
টুখেলকে বেশ আগে থেকেই সেরাদের একজন মেনে আসছেন গার্দিওলা। আর গার্দিওলাকেও ভীষণ সমীহ করেন টুখেল। গার্দিওলার কৌশল নিয়ে মুগ্ধতা জানানোর পাশাপাশি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে কদিন আগে জানিয়েছিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে টুখেল বলেছিলেন, ‘সবসময়ই গার্দিওলার দলের বিপক্ষে খেলা কঠিন। সে যখন বায়ার্ন মিউনিখের কোচ ছিল, তখন তার বিপক্ষে খেলেছি। এখন খেলতে হচ্ছে তার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে।’
সকল প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সাতবার মুখোমুখি হয়েছেন গার্দিওলা ও টুখেল। গার্দিওলার চার জয়ের বিপরীতে টুখেলের জয় দুটি। অন্য ম্যাচটি হয়েছে ড্র। তবে সামগ্রিক পরিসংখ্যানে পিছিয়ে থাকলেও টুখেলের জয়গুলো এসেছে সবশেষ দুটি সাক্ষাতে।
সম্প্রতি এফএ কাপে ১-০ গোলে জেতার পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে টুখেলের চেলসি। এই দল দুটি আগামী শনিবার রাতে ফের মুখোমুখি হবে পরস্পরের। তারা লড়বে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য।
Comments