সেই ছাগল ফেরত পেলেন সাহারা বেগম
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/untitled-1_179_0.jpg)
উপজেলা চত্বরে লাগানো ফুল গাছের পাতা খাওয়ায় ছাগল আটকে রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা করেছিলেন বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন। ১০ দিন আটকে রাখার পর আজ বিকেলে মালিকের কাছে ছাগলটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ছাগলের মালিক সাহারা বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সাংবাদিকদের লেখালেখিতে ছাগলটি ফেরত পেয়েছি। এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাজু ভাই। আমার মতো গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
‘১০ দিনে ছাগলটি আধমরা হয়ে গেছে। ও মানুষের কাছাকাছি থাকতেই বেশি পছন্দ করে। ছাগল আটকে রেখে আমার অনুপস্থিতিতেই ইউএনও দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। পরে টাকা দিতে পারিনি বলে একজনের কাছে বিক্রি করে দেন’, বলেন সাহারা বেগম।
আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম রাজু খান বলেন, ‘সাহারা বেগম একাধিকবার অনুরোধ করায় আমি মধ্যস্থতা করেছি। ছাগল ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আদমদীঘির ইউএনও সীমা শারমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় সবার উপস্থিতিতে ছাগলটি ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানার টাকা যেহেতু ছাগল মালিক দিতে পারেননি তাই সে টাকা সরকারি কোষাগারে আমিই দিয়েছি। আসলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা তো সঙ্গে সঙ্গেই দিতে হয়। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে টাকাটা আমিই দিয়েছি।’
মালিকের অনুপস্থিতে কীভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করলেন? জবাবে ইউএনও বলেন, ‘মোবাইল কোর্টে মালিক উপস্থিত ছিলেন। হয়তো তিনি বিষয়টি তখন বুঝতে পারেননি।’
ছাগল বিক্রির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে সংশোধনের জন্য এই জরিমানা করা হয়েছিল। শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়। আর ছাগল একজনকে রাখতে দেওয়া হয়েছিল। বিক্রয় করা হয়নি।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে আদমদীঘি উপজেলা চত্বরে লাগানো কিছু ফুল গাছের পাতা খাওয়ায় একটি ছাগল আটকে রাখে আনসার সদস্যরা। ছাগলের মালিক সাহারা বেগম ছাগল আনতে গেলে তার সঙ্গে দেখা করেননি ইউএনও। তিন দিন পর তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানার কথা জানানো হয়। জরিমানা দিতে না পারায় ছাগল বিক্রির অভিযোগ উঠে ইউএনও'র বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
Comments