নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত স্থগিত চেয়ে বেরোবি উপাচার্য কলিমউল্লাহর রিট

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ তার বিরুদ্ধে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন।

অধ্যাপক কলিমুল্লাহ তার আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলামের মাধ্যমে গত ২৩ মে এই রিট আবেদন করেন।

অভিযোগের বিষয়ে তার ব্যাখ্যা চেয়ে ইউজিসির নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি এ আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি ১৫ মে ইউজিসির দেওয়া নোটিশ এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে ইউজিসির জিজ্ঞাসাবাদের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছেন।

এ সব তথ্য নিশ্চিত করে আইনজীবী শহিদুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ইউজিসি গত ১৩ এপ্রিল অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর ওপর বেরোবিতে দুজন কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ এনে ওই নিয়োগের প্রাসঙ্গিক নথি ইউজিসিতে উপস্থিত হতে একটি নোটিশ জারি করে।’

পরে, গত ১২ মে ড. কলিমুল্লাহ ইউজিসির কাছে চলমান লকডাউন শেষে হাজির হওয়ার জন্য সময় চেয়ে একটি আবেদন পাঠিয়েছিলেন।

আইনজীবী শহিদুল বলেন, কিন্তু ওই আবেদনের নিষ্পত্তি না করেই ইউজিসির সিনিয়র সহকারী সচিব (আইন) কলিমুল্লাহকে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ ২০ মে ইউজিসিতে হাজির হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আরেকটি নোটিশ জারি করেন।

এটি অবৈধ এবং এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ইউজিসির আইনজীবী অরবিন্দ কুমার রায় এই রিট আবেদনের অনুলিপি পেয়েছেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: 

বেরোবির উপাচার্য কলিমুল্লাহর বক্তব্য অসত্য: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

একজন নিখোঁজ উপাচার্য