চেলসিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েও অশুভ শঙ্কায় টুখেল
চেলসিতে যোগ দিয়েছেন ছয় মাসও পার হয়নি। এরমধ্যেই সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়ে গিয়েছেন টমাস টুখেল। প্রথম মৌসুমেই জিতলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। স্বাভাবিকভাবেই তার উপর বেজায় খুশি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ ধারাবাহিকতা ধরে না রাখতে পারলে কি হতে পারে? এমনটা ভেবেই শঙ্কিত হালের অন্যতম সেরা এ কোচ।
এক মৌসুমে সাফল্য পেলেই যে চেলসিতে টিকে থাকবেন ব্যাপারটা এমন নয়। পরের মৌসুমে সাফল্য না পেলেই চাকুরি থেকে ছাঁটাই করতে কোনো কার্পণ্য করেন না ক্লাবটির মালিক রোমান আব্রাহিমোভিচ। ২০১২ সালে তার মতোই মাঝ পথে দলের হাল ধরেছিলেন রোবার্তো দি মাতিও। জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। কিন্তু টিকতে পেরেছেন মাত্র ৯ মাস। পরের মৌসুমের শুরুটা ভালো না হওয়ায় ছাঁটাই হতে হয় তাকে।
২০১৬ সালে আন্তনিও কন্তেও মাঝ পথে দায়িত্ব নিয়ে জিতিয়েছিলেন প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। পরের বছর জিতেন এফএ কাপ। সে মৌসুম শেষেই ছাঁটাই করা হয়েছিল তাকে। কারণ সেই একই। ২০০৩ সালে আব্রাহিমোভিচ চেলসির মালিকানা পাওয়ার পর গত ১৮ বছর মোট ১৭ বার কোচের পরিবর্তন হয়েছে এ ক্লাবে। এক মরিনহো ছাড়া কোনো কোচই টিকতে পারেননি দুই বছরের বেশি।
তাই এমন কিছুর শঙ্কা কখনোই উড়িয়ে দিতে পারবেন না টুখেল। ম্যাচ শেষে তা স্পষ্ট হয় তার কণ্ঠেই। গত জানুয়ারিতে ১৮ মাসের চুক্তি আসা এ কোচের নতুন চুক্তি হবে কি-না জানতে চাইলে বলেন, 'আমি শতভাগ নিশ্চিত নই। হয়তো নতুন চুক্তি পেতে পারি। এটা হতে পারে, আমার ম্যানেজার এ বিষয়ে বলেছে। তবে আমি জানি না আমাকে দেখতে হবে।'
তবে ভবিষ্যতে যে খারাপ কিছু হতে পারে তাও বললেন এ জার্মান কোচ, 'আমি এ মুহূর্তে ক্লাব মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রথম আলোচনার জন্য এটা সেরা মুহূর্ত। অথবা সবচেয়ে খারাপ। কারণ হয়তো এখন থেকে সব কিছু খারাপ হতে শুরু করবে। দেখা যাক কি হয়। এ নিয়ে পরে কথা বলব।'
অর্থাৎ পূর্ব ইতিহাস খুব ভালো করেই জানান আছে টুখেলের। ভালো সময় খারাপ হতে সময় লাগে না। আর একটু উনিশ বিশ হলে চেলসি থেকে ছাড় পাওয়ার নজির যে নেই বললেই চলে।
Comments