আমরাই বিশ্বের সেরা ক্লাব: মাউন্ট
চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। মনে হচ্ছিল মৌসুমের সব শিরোপার স্বাদ পাবে তারাই। সেই সিটিকেই এফএ কাপে থামানোর পর আগের দিন হতাশ করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও। তাই এ মুহূর্তে নিঃসন্দেহে নিজেদের সেরা ক্লাব বলে দাবী করতেই পারে চেলসি। ম্যাসন মাউন্টও ঠিক এমনটাই দাবী করলেন।
পোর্তোয় আগের দিন ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে চেলসি। দলের হয়ে এক মাত্র গোলটি আসে জার্মান তারকা কাই হাভার্টজের কাছ থেকে। তবে সে গোলের উৎস ছিলেন মাউন্টই। প্রায় মাঝমাঠ থেকে নিখুঁত এক পাস দিয়েছেন এ ইংলিশ তরুণ। হাভার্টজ কেবল তার সঠিক পরিণতি নিশ্চিত করেছেন।
তাই স্বাভাবিকভাবেই এমন জয়ের পর দারুণ উচ্ছ্বসিত মাউন্ট, 'এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এটা অসম্ভব। আমি বলতে চাই এর আগে আমি চেলসির হয়ে দুটি ফাইনাল (এফএ কাপ) খেলেছি এবং দুটিতেই হেরেছি। এটা খুব কষ্টদায়ক ছিল... সবসময় চেলসির হয়ে একটি শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছি।'
বর্তমানে নিজেদের সেরা ক্লাব দাবী করে আরও বলেন, 'চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই পথচলায় আমরা কিছু কঠিন দলের বিপক্ষে খেলেছি। ফাইনালে উঠেছি এবং জিতেছি। এটা বিশেষ উপলক্ষ। এই মুহূর্তে আমরাই বিশ্বের সেরা ক্লাব। এটা আমাদের কাছ থেকে আপনি কেড়ে নিতে পারবেন না।'
আর এ জয়ের মাহাত্ম্য প্রমাণ করতে সিটিজেনদের শক্তিমত্তাও তুলে ধরেন এ ইংলিশ তরুণ, 'ম্যানসিটি কি কেমন দল সেটা আপনি প্রিমিয়ার লিগেই দেখেছেন। এটা খুব কঠিন একটি লড়াই ছিল। আমরা একটি গোল পেয়েছি এবং পুরো ম্যাচ ডিফেন্ড করে গিয়েছি। আমরা মাঠে সবকিছু করেছি এবং জিতেছি। আমি কি বলতে পারি? অনেক কিছুই চলে আসে।'
ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন পেয়ে নিজের আবেগকে সামলাতে পারেননি মাউন্ট। ম্যাচ শেষে বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তাই কান্নায় ফেটে পড়েন এ তরুণ, 'এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমার বাবা কিছুক্ষণ আগে স্টান্ডের নিচে এসেছিল। আমি তাকে দেখে কান্নায় ফেটে পড়ি। সব কিছুর জন্য আমার পরিবারকে ধন্যবাদ।'
চেলসিতে এটা মাউন্টের দ্বিতীয় মৌসুম। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের সময় থেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। তবে টমাস টুখেলের অধীনে যেন আরও জ্বলে ওঠেন। ৫৪ ম্যাচে ৯ গোল করা এ তরুণই এখন ক্লাবের অন্যতম অপরিহার্য খেলোয়াড়।
Comments