লালমনিরহাট

ধরলায় ভাঙন

ধরলার ভাঙন তীব্র হচ্ছে। ছবি: স্টার

ধরলা নদীর ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন ৬০ বছর বয়সি ঈমান আলী। একই অবস্থা সাইদুল ইসলাম (৫০), জহুরুল হক (৫৫) ও আব্দুর রহমানেরও (৫৮)।

তারা সবাই লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফলিমারী গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। গতকাল রোববার বিকেলে চোখের সামনেই তাদের সবার বসতভিটা ধরলা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

গত দুদিনে ফলিমারীতে ধরলা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীগর্ভে চলে গেছে কয়েকটি বসতভিটা ও ভুট্টাসহ অর্ধশত বিঘা আবাদি জমি। এ ছাড়া, অর্ধশত বসতভিটা ও শতাধিক একর আবাদি জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

ঈমান আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার ১২ শতাংশ জমির বসতভিটা ধরলা নদীর গর্ভে চলে যাওয়ায় তিনি অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন। পরিবার নিয়ে তাকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

আব্দুর রহমান জানান, তার ১০ শতাংশ বসতভিটা ও গাছপালা ধরলার গর্ভে চলে গেছে। তিনি সরকারি রাস্তার পাশে ঘর তুলেছেন। জমি কিনে বসতভিটা করার সামর্থ্য নেই তার।

স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার বসতভিটাসহ প্রায় অর্ধশত বসতভিটা এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। বর্ষার আগে ধরলা নদী যেভাবে ভাঙছে, তাতে বসতভিটা রক্ষা পাওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই।’

তিনি জানান, গতকাল বিকেল থেকে আজ সকালের মধ্যে তার চার বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব জমিতে ভুট্টা ছিল।

মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ বছর বর্ষা আসার আগেই ফলিমারীতে ধরলার ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষাকালে ভাঙন আরও তীব্র হতে পারে। ঝুঁকিতে থাকা অনেকে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।’

ফলিমারীতে নদী ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে ফলিমারীতে ভাঙন ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।’

বরাদ্দ পেলে জিও ফেলে ভাঙন ঠেকানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Produce 10 ex-ministers, 2 advisers to Hasina before tribunal on Nov 18: ICT

They will be shown arrested in case filed over crimes against humanity, genocide, says prosecutor

32m ago