‘আমরাও মানুষ, যন্ত্র নই,’ ব্যস্ত সূচি প্রসঙ্গে লেভানদভস্কি
ক্লাব ও আন্তর্জাতিক পর্যায় মিলিয়ে করোনাভাইরাস বিরতির পরবর্তী ঠাসা সূচির কারণে খেলোয়াড়রা যেমন ভুগবে, তেমনি দর্শকরাও বিরক্ত হবে বলে মনে করছেন রবার্ত লেভানদভস্কি। বায়ার্ন মিউনিখের এই তারকা পোলিশ স্ট্রাইকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফুটবলারদের ভালো-মন্দ নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই উদাসীনতা দেখায়।
বৈশ্বিক মহামারির কারণে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের ২০১৯-২০ মৌসুম শেষ হয়েছিল দেরিতে। সময়ের সামঞ্জস্যের জন্য স্বল্প বিরতি দিয়ে চালু করে দেওয়া হয় ২০২০-২১ মৌসুম। এর বাইরে জাতীয় দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণ তো আছেই। সামনে আবার রয়েছে কোপা আমেরিকা ও উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। তারপর চালু হবে ক্লাব ফুটবলের নতুন মৌসুম। তাছাড়া, ২০২২ সালে কাতারে বসবে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর।
ব্যস্ত সূচি প্রসঙ্গে সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টাইমসের কাছে মনের খেদ ঝেড়ে লেভানদভস্কি বলেছেন, তাদেরকে যেন যন্ত্র বানিয়ে ফেলা হচ্ছে, ‘অনেকেই ভুলে যায় যে, আমরাও মানুষ; আমরা যন্ত্র নই। প্রতিদিন আমরা পারফরম্যান্সের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে পারি না।’
তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য মানিয়ে নেওয়া ও ফিটনেস ঠিক রেখে লম্বা ক্যারিয়ার উপভোগ করার কাজটা আরও কঠিন হবে বলে মত দিয়েছেন তিনি, ‘ফুটবল ও তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এটা বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। অনেক বছর ধরে শীর্ষ পর্যায়ে থাকা (বিশাল সমস্যা হবে তরুণদের জন্য)। কারণ, এখন ও সম্ভবত পরবর্তী দুই বছরে ভীষণ ব্যস্ত সূচি থাকবে; অনেক অনেক বড় ম্যাচ হবে।’
৩২ বছর বয়সী লেভানদভস্কির ধারণা, টানা খেলা থাকায় দর্শকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে, ‘এমনকি দর্শকদের জন্যও এত বেশি ম্যাচ অনেক বিরক্তিকর হবে বলে আমি মনে করি। যদি ম্যাচগুলোর জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে দর্শকদের প্রত্যাশা আরও বাড়ে এবং তারা অনুভব করে যে, তারা সেগুলোর জন্য অপেক্ষা করছে।’
সর্বোপরি, ফুটবল খেলার মান কমে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘খেলার মান কমে যাবে। এত ম্যাচের কারণে খেলার মান শীর্ষ পর্যায়ে রাখাও সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস বিরতি শেষে গত বছরের মে মাসে ফুটবল ফের চালুর পর ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৬০টি ম্যাচ খেলেছেন লেভানদভস্কি। সদ্যসমাপ্ত ২০২০-২১ মৌসুমে তিনি বুন্ডেসলিগায় কিংবদন্তি জার্ড মুলারের ৪০ গোলের রেকর্ড ভাঙেন। মাত্র ২৯ ম্যাচে ৪১ গোল করে জার্মানির শীর্ষ লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের নতুন কীর্তি গড়েন তিনি।
Comments