লকডাউন নয়, কুষ্টিয়ায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও পরীক্ষা বাড়ানো হবে

সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়া জেলায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে এখনই লকডাউন নয় বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। তবে জনসচেতনতা ও নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়া জেলায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে এখনই লকডাউন নয় বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। তবে জনসচেতনতা ও নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কমিটির সভা শুরু হয়। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সভায় যুক্ত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ছয়টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।

সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সিভিল সার্জন বলেন, কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ বলব না। তবে একটু বাড়তির দিকে। এ রকম পরিস্থিতি আগেও দুই বার হয়েছিল। ঈদের কেনাকাটায় ভীড় পরবর্তী এটাকে এখনও স্বাভাবিক মনে করা যেতে পারে।

ভারতীয় ধরনের ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সীমান্তে কঠোর তদারকির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ৪ দিনে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১০২ জন। এদিকে গত রবিবার জেলায় ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর এটিই কুষ্টিয়ায়

সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। এদিন করোনায় একজন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া গেছে ১৮ জনের।

জেলায় এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১১৩ জন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি আছেন ৩৪ জন।

হাসপাতালটিতে চার শয্যার লেভেল-১ মাত্রার আইসিইউ ইউনিট আছে। তবে এটি লেভেল-২ রূপান্তরের কাজ চলছে। দুই সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেশি মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহের ১৪টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি) রয়েছে এখানে। তবে তিন টি নষ্ট।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, আরও পাঁচটি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ঢাকা থেকে আনা হচ্ছে। এ ছাড়া যদি কেউ হাসপাতালে স্বেচ্ছায় সরবরাহ করতে চান, সেটা সাদরে গ্রহণ করা হবে।

কুষ্টিয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৯৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ হাজার ৯৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Unrest emerges as a new threat to RMG recovery

The number of apparel work orders received by Bangladeshi companies from international retailers and brands for the autumn and winter seasons of 2025 dropped by nearly 10 percent compared to the past due to major shocks from the nationwide student movement and labour unrest in major industrial belts over the past two and half months.

9h ago