পর্যালোচনার পর পেরুতে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি
পেরুতে নতুন করে পরিসংখ্যান পর্যালোচনার পর করোনা মহামারিতে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বলে জানা গেছে। সোমবার পেরুর প্রধানমন্ত্রী ভায়োলেতা বারমুডেজ এক ঘোষণায় বলেন, গত বছরের ১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২২ মে পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৬৪ জন মারা গেছেন। এর আগে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ৬৭ হাজার ৮০৭ জন।
সিএনএন জানিয়েছে, পর্যালোচনার আগে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ২ দশমিক ৬ গুণ কম ছিল। জনসংখ্যার হার অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এখন পেরুতে। দেশটির জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ভায়োলেতা বারমুডেজ বলেন, পরিসংখ্যানগুলো পেরু ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেলের পরামর্শের ভিত্তিতে হালনাগাদ করা হয়েছে।
বারমুডেজ বলেন, ‘হালনাগাদ করা তথ্যগুলো জনগণের কাছে প্রকাশ করা আমাদের দায়িত্ব। এটি কেবল স্বচ্ছতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই নয়, বরং রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার জন্যও।’
হালনাগাদের পর বিশ্বে জনসংখ্যার হার অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এখন লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে। এর আগে হাঙ্গেরি এই অবস্থানে ছিল। নতুন তথ্য অনুযায়ী, পেরুতে প্রতি লাখে ৫০০ জন মারা গেছেন, এর আগে সংখ্যাটি ছিল ২০০।
অন্যদিকে, হাঙ্গেরিতে প্রতি এক লাখে মারা গেছেন ৩০০ জন।
সরকারি পর্যালোচনার আগেও পেরুর করোনার মহামারি পরিস্থিতি বেশ খারাপ ছিল। মহামারিতে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে পেরু অন্যতম। এ বছরের শুরু থেকে দেশটিতে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে। দেশটিতে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে, আইসিইউ শয্যার সংকটও দেখা দিয়েছে।
মে মাসের শেষ পর্যন্ত দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি ছিল এবং জুনের শেষ পর্যন্ত দেশব্যাপী লকডাউন চলবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
Comments