৪ দিন ধরে কর্মবিরতিতে নালুয়া চা-বাগানের শ্রমিকরা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে নালুয়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপকের অপসারণ দাবিতে কর্মবিরতি করছেন চা-শ্রমিকরা। ১ জুন ২০২১। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/ স্টার

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া চা-বাগানের স্থায়ী ও অস্থায়ী চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি আজ বুধবার চতুর্থ দিনে পড়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও এখনও ব্যবস্থাপকের অপসারণ দাবিতে অনড় চা-শ্রমিকরা।

এই দাবি বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পাশাপাশি তারা কারখানার বাইরে বিক্ষোভ করছেন।

চা-বাগানের সভাপতি উপেন উরাং দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘গত ২৮ মে সকালে বাগানের নিজস্ব গাড়ি ও শ্রমিক থাকতে ভাড়া করা গাড়ি ও সিকিউরিটি ইনচার্জকে দিয়ে প্রায় ১৫০ ঘনফুট সেগুন কাঠ বাগানের বাইরে পাঠান।’

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক নিপেন পাল ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সেই ঘটনা পরদিনই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু, সে সময় শ্রমিকদের সঙ্গে উনার আচার-আচরণ খুবই খারাপ ছিল।’

‘তিনি যদি স্বপদে বহাল থাকেন তাহলে এই আন্দোলনে যারা সামনে ছিলেন তাদের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা থাকে,’ বলে মনে করেন নিপেন পাল।

তিনি আরও জানিয়েছেন, চা-বাগানের মোট ১২৭৫ স্থায়ী চা-শ্রমিকের সঙ্গে অস্থায়ী ও ঠিকাদফা শ্রমিক রয়েছেন পাঁচ হাজারের মতো।

চান্দপুর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক শামীম হুদা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি চা-শ্রমিকদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। সামান্য একটা ভুলের কারণে একজন ব্যবস্থাপককে অপসারণ দাবি যৌক্তিক নয়। বাগানের কাঠগুলো বের করার প্রক্রিয়ায় তার ভুল ছিল। কাজ করার ক্ষেত্রে এমন ছোট-খাটো ভুল হতেই পারে।আচার-আচরণে ভুল হয়ে থাকলে সেটাও সমাধান যোগ্য। কিন্তু, শ্রমিকদের কারণে বিষয়টি এখনও পর্যন্ত অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।’

চুনারুঘাট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সত্যজিৎ রায় দাশ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা আজ যাচ্ছি। আশা করি, সমস্যার সমাধান করা যাবে।’

অভিযুক্ত ব্যবস্থাপকের মোবাইল নম্বরে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে নালুয়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপকের অপসারণ দাবিতে কর্মবিরতি করছেন চা-শ্রমিকরা। ১ জুন ২০২১। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/ স্টার

Comments

The Daily Star  | English

Türk concerned over changes in Bangladesh's legislation banning activities of parties

"This [the changes in legislation] unduly restricts the freedoms of association, expression, and assembly," says the UN high commissioner for human rights

41m ago