কোভিড-১৯

আগামীকাল থেকে রাজশাহী ও নওগাঁয় চলাচলে বিধিনিষেধ

স্টার ফাইল ছবি

সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় আগামী ৩ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

আজ বুধবার রাজশাহী ও নওগাঁর জেলা প্রশাসকদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিধিনিষেধের কথা জানানো হয়েছে।

সংক্রমণের রাশ টানতে রাজশাহী ও নওগাঁয় ৩ জুন রাত ১২টার পর থেকে ৯ জুন দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন (বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা, টমটম, রিকশা ও মোটরসাইকেল) বন্ধ থাকবে।

কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সকাল ৭টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। তবে প্রয়োজন ছাড়া কেউ এসব জায়গায় যাতায়াত এবং জনসমাগম করতে পারবে না।

শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাট, গরু-ছাগলের হাটসহ অন্যান্য হাট; খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। তবে, ওষুধের দোকান খোলা রাখা যাবে।

সরকারি অফিস ও ব্যাংক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অন্যান্য উপজেলায় নির্দেশনার আলোকে শুধু জরুরি কাজে সীমিত লোকবল নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে উপজেলায় সব এনজিওর কাজ বন্ধ থাকবে।

বিধি-নিষেধের আওতাধীন এলাগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ কেনা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা উপজেলার সব হাট-বাজার ও স্থায়ী দোকান; মান্দা উপজেলার চৌবাড়ীয়া হাটসহ নওগাঁ জেলার সঙ্গে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন সব হাট-বাজার বন্ধ থাকবে। তবে, কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সকাল ৭টা থেকে দুপুর আড়াইটার পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।

আমের আড়ৎ বা বাজার পৃথক জায়গায় ছড়িয়ে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাগান থেকে আম ট্রাকে করে পাঠানো যাবে। এছাড়া কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু থাকবে।

আন্তঃজেলা এবং জেলা সদর থেকে উপজেলা পর্যায়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্য পরিবহন এবং জরুরি সেবা-পরিষেবা ও জরুরি সরকারি গাড়ির ক্ষেত্রে এ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে না। 

জেলার কোনো বাড়িতে কোভিড আক্রান্ত রোগী থাকলে সে বাড়ি পুরোপুরি লকডাউন করতে হবে এবং ওই বাড়ির সব সদস্য লকডাউনে থাকবেন। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের বাড়ি লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে। একই গ্রাম বা মহল্লায় একাধিক বাড়িতে সংক্রমণ চিহ্নিত হলে ওই গ্রাম বা মহল্লা লকডাউনে থাকবে।

অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।

শিল্প কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তে নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন করে মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সমসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনা করতে পারবেন।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago