দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কাঠামোর মূল দুর্বলতা চিহ্নিত করতে হবে: আইনমন্ত্রী

দুর্নীতি প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন কাঠামোর মূল দুর্বলতা এবং ফাঁক-ফোকরগুলোকে অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন ও উদ্ভাবনী পন্থা অবলম্বনের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল দিবাগত রাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে দুর্নীতি বিরোধী সাধারণ আলোচনায় ভিডিও বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আজ শুক্রবার আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে তিন দিনব্যাপী দুর্নীতি বিরোধী এ আলোচনা চলছে।
'২০৩০ সালের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং আমাদের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে' আইনমন্ত্রী বলেন, 'তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নারী ও যুবকসহ সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে পুরো সমাজে একটি সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'অবৈধ আর্থিক প্রবাহসমূহ রোধ এবং বাজেয়াপ্ত সম্পদগুলো পুনরুদ্ধার ও ফিরিয়ে আনা গেলে তা কার্যকর সম্পদ সংস্থান এবং এসডিজি বাস্তবায়নে অবদান রাখতে পারে। কিন্তু অতীতে হতাশার সাথে পর্যবেক্ষণ করা গেছে যে, জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন (ইউএনসিএসি) এর সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও সম্পদ পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াগুলোতে বাড়তি কিছু বাধা রয়েছে। এসব বাধা দূর হওয়া উচিত।'
ইউএনসিএসি'র কার্যকর বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, 'দুর্নীতি প্রতিরোধ, ফৌজদারি আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য অধিকার, হুইসেল ব্লোয়ার সুরক্ষা, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধ, ফৌজদারি বিষয়গুলোতে পারস্পরিক আইনি সহায়তা, বহিঃসমর্পন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট ও ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধ প্রতিরোধসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সরকার জাতীয়ভাবে আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছে।'
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ব্যবস্থায় একটি বিস্তৃত সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Comments