নোয়াখালীতে লকডাউন কার্যকরে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নোয়াখালী সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিন প্রায় কঠোরভাবে কার্যকর হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে জরুরি সেবা ছাড়া লকডাউন ঘোষিত এলাকায় দূরপাল্লা কিংবা অভ্যন্তরীণ যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ ছিল। তবে দুপুরের পর এ দৃশ্যের কিছুটা পরিবর্তন ঘটে।
গতকাল বিকালে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় পুলিশ সুপার মো. আমলগীর হোসেন, নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমিন মিল্কিসহ স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন, যথাক্রমে: কাদির হানিফ, নোয়ান্নই, বিনোদপুর, নোয়াখালী, নেয়াজপুর ও অশ্বদিয়া ইউনিয়ন এবং নোয়াখালী পৌরসভায় নয়টি ওয়ার্ডে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম খান। আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ লকডাউন আগামী ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে।
শনিবার সকাল ও দুপুরে লকডাউন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার ব্যস্ততম শহর মাইজদিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও মানুষের চলাচল ছিল সীমিত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেয়নি পুলিশ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমাসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ও সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় পাঁচটি মোবাইল টিম সকাল থেকে লকডাউন ঘোষিত এলাকায় কাজ করেছেন। লকডাউনের মধ্যে ওষুধের দোকান ও কাঁচাবাজার ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রোগী বহনকারী পরিবহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয়নি।’
নোয়াখালীর সিভিল সার্জন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় একদিনে ৩৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সর্বোচ্চ ১২৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। আক্রান্তের হার ৩২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৫৪ জনে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় ১২৩ জন মারা গেছেন।
Comments