লকডাউন বাড়ল ১৭ জুন পর্যন্ত

সাতক্ষীরায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৫২.৬০ শতাংশ

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। বাকিরা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। বাকিরা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত ১১১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮ জন করোনা রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছিল। সংক্রমণের হার ছিল ৫০ দশমিক ৫২ শতাংশ।

করোনা সংক্রমণ না কমায় সাতক্ষীরায় গত ৫ জুন থেকে চলা লোকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৭ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত দুই হাজার ২৫৬ জনকে শনাক্ত করা হয়। আজ সকাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৪৭ জন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৭ জন ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসাধীন। বাকিরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কদুরত-ই-খোদা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ শুক্রবার হাসাপাতালের ১৩৫ শয্যার করোনা ইউনিটে রোগীর সংখ্যা ১৩৬ জন। এর মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ৩০ জন। চিকিৎসক ও নার্স সংকটে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফায়সাল আহমেদ জানান, ৪০ শয্যা হাসপাতালে রোগী রয়েছে ২৮ জন। এর মধ্যে ২২ জন পজিটিভ।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত ডেইলি স্টারকে জানান, করোনা প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় গত ৫ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। সংক্রমণ না কমায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৭ জনু পর্যন্ত করা হয়েছে। লকডাউন সফল করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

সাতক্ষীরায় এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে ২৪৩ জন ও আক্রান্ত হয়ে ৫০ জন মারা গেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

2h ago