এরিকসেনের লুটিয়ে পড়ার ম্যাচে ডেনমার্ককে হারাল ফিনল্যান্ড
ম্যাচের তখন ৪৩তম মিনিট। আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। এমন ঘটনায় পুরো স্টেডিয়াম ছেয়ে যায় শঙ্কার কালো মেঘে। মাঠে ১৫ মিনিটের মতো চিকিৎসা চলার পর ডেনমার্কের এই মিডফিল্ডারকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
পরে ডেনিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন টুইটারে এক বিবৃতিতে জানায়, এরিকসেনের অবস্থা স্থিতিশীল। আরও কিছু পরীক্ষা করানো হবে ২৯ বছর বয়সী এই তারকার।
তাৎক্ষণিকভাবে ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটি স্থগিতের ঘোষণা দেয় উয়েফা। পরে দুই দলের খেলোয়াড়দের অনুরোধে খেলা আবার গড়ায় মাঠে।
প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর ফের চালু হওয়া ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে শেষ হাসি হাসতে পারেনি এরিকসেনের ডেনমার্ক। নিজেদের মাঠ কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে তারা হেরে গেছে ১-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে জোয়েল পোহাইনপালোর লক্ষ্যভেদে চমক দেখিয়েছে প্রথমবারের মতো ইউরোতে নাম লেখানো ফিনল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময় অনুসারে শনিবার রাত ১২টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচের বাকি অংশ। প্রথমার্ধের অসমাপ্ত চার মিনিটের খেলা হওয়ার পর পাঁচ মিনিটের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে যায় খেলোয়াড়রা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাচ জুড়ে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য দেখায় স্বাগতিকরা। গোলমুখে তাদের নেওয়া ২২ শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু একের পর এক সুযোগ নষ্টের মাশুল দিতে হয়েছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে থাকা দলটিকে।
এমনকি পেনাল্টি থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ডেনমার্ক। ৭৩তম মিনিটে ইউসুফ পলসেন প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পিয়েরে-এমিল হয়বিয়ার স্পট-কিক ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন ফিনিশ গোলরক্ষক লুকাস হ্রাদেকি।
ফিনল্যান্ড বাজিমাত করে ম্যাচে তাদের একমাত্র সুযোগেই! ৫৯তম মিনিটে জেরে উরোনেনের ক্রসে হেড করে বল জালে পাঠান পোহাইনপালো। এতে দায় আছে ডেনমার্কের গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেলের। বল তার হাতের ফাঁক গলে গোললাইন অতিক্রম করে।
গোটা ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ওই একটা শটই নিতে পারে ফিনল্যান্ড। আর সেটাই ছিল লক্ষ্যে। এর আগে-পরে চালকের আসনে থাকলেও ধারার বিপরীতে হজম করা গোলের কারণে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ডেনমার্ককে।
আগামী বুধবার নিজেদের পরের ম্যাচে রাশিয়ার মাঠে খেলতে নামবে ফিনল্যান্ড। পরদিন ডেনমার্ক আতিথেয়তা দিবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়ামকে।
Comments