কোপা আমেরিকায় ৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

চলছে লাতিন আমেরিকার মহাদেশীয় ফুটবল আসর কোপা আমেরিকা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে ব্রাজিলে এ আসর আয়োজন নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল। আর সে বিতর্ক কেন হয়েছে তা আরও একবার জানা গেল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে। মঙ্গলবার পর্যন্ত খেলোয়াড়, স্টাফ ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মোট ৪১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে তারা।

চলছে লাতিন আমেরিকার মহাদেশীয় ফুটবল আসর কোপা আমেরিকা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে ব্রাজিলে এ আসর আয়োজন নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল। আর সে বিতর্ক কেন হয়েছে তা আরও একবার জানা গেল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে। মঙ্গলবার পর্যন্ত খেলোয়াড়, স্টাফ ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মোট ৪১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে তারা।

গত রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তখন মোট ২৯২৭টি পরীক্ষায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১ জন। যেখানে ভেনেজুয়েলার খেলোয়াড়ই ছিল ৮ জন। গত দুই দিনে সে সংখ্যাটা বেড়েছে আরও ১০ জন। জানা গেছে ৪১ সদস্যের মধ্যে খেলোয়াড় ও স্টাফদের সংখ্যাই ৩১ জন। এর সঙ্গে টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট আরও ১০ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। জানা গেছে এ ১০ জন ব্রাজিল-ভেনেজুয়েলা ম্যাচের দায়িত্বে থাকা কর্মী।

ভেনেজুয়েলার খেলোয়াড়দের আক্রান্তের পর বলিভিয়ার তিন খেলোয়াড়ও কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাই কোপা আমেরিকার এবারের আসর নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে অংশগ্রহণকারী গুলোর। বিশেষকরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার পরও আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে দলগুলোর মধ্যে।

আগের দিন করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কথা জানিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিও, 'আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কারণ সবারই কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সবাই সতর্ক থাকার চেষ্টা করলেও কাজটা তো সহজ নয়। এগুলো এভাবেই হয়। আমরা সতর্ক থাকতে সম্ভাব্য সবকিছুই করার চেষ্টা করব। কিন্তু সব সময় তো আমাদের কিংবা একজনের ওপর সব নির্ভর করে না।'

এর আগে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়রা এ আসরে না খেলার জন্য রীতিমতো আন্দোলনেই নেমেছিলেন। কোচ তিতে এবং অধিনায়ক কাসেমিরো এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও কথা বলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের বুঝিয়ে খেলতে রাজী করিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। তবে তাদের শঙ্কা যে ভুল ছিল না তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে ব্রাজিলের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। এ ভাইরাসে আক্রান্তে হয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছে দেশটিতে।

Comments