চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশেষ বিধিনিষেধ বাড়ল ২৩ জুন পর্যন্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ ও নিম্নগামী রাখতে আরোপিত বিশেষ বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বিধিনিষেদের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেন। ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ ও নিম্নগামী রাখতে আরোপিত বিশেষ বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ এ ঘোষণা দেন।

তবে, জেলার বাইরের আম ব্যবসায়ীরা আম কিনতে এ জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও নিম্নগামী রাখতে আগামী কাল থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো। এসময় দোকান ও মার্কেট সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। জেলার ভিতরে বাস চলাচল করবে। তবে, আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আম ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে জেলার বাইরের প্রকৃত আম ব্যবসায়ীরা এ জেলায় আম কিনতে আসতে পারবেন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, ‘জেলায় র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট, আরটিপিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা ও জিন এক্সপার্ট টেস্ট এই তিন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করে করোনা রোগী শনাক্ত করা হচ্ছে। ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের গড় হার ছিল ৫৬.৯০ শতাংশ।’

তিনি জানান, গত ৮ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৮৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হন ১৯০ জন। তখন গড় শনাক্তের হার ছিল ২২.২৪ ভাগ।

তিনি আরও জানান, এ জেলায় সংক্রমণের হার নিম্নগামী হচ্ছে। তার পরও সংক্রমণের হার আরও নিম্নগামী করতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। মানুষের জীবনের স্বার্থে এটা করা হচ্ছে।

এর আগে, করোনা প্রতিরোধ কোর কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সব কর্মকর্তারা দ্বিতীয় দফা বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে তাদের মত দেন।

এ জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে গত ২৫ মে থেকে দুই দফায় ১৪ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন দেন স্থানীয় প্রশাসন। এর পর ৮ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। যা আবার ২৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English
World Bank’s senior official speaks on lending culture in Bangladesh

Banks mostly gave loans to their owners rather than creditworthy borrowers

Bangladesh’s banking sector was not well-managed in recent years. Banks mostly gave loans to their owners, rather than to creditworthy entities. Consequently, several banks are now in difficulty.

13h ago